Ajker Patrika

সয়াবিন তেলের দাম কমেনি

খান রফিক, বরিশাল
সয়াবিন তেলের দাম কমেনি

বরিশালে সয়াবিন তেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। সরকার লিটারে ১৪ টাকা কমালেও নগরে এর প্রভাব নেই। এই চিত্র পাইকারি এলাকা বাজার রোডে পাওয়া গেছে। তেমনি নগরের অলিগলিতে তেলের দাম এক টাকাও কমেনি। এদিকে বাজারে তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষুব্ধ মত প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তেলের দাম না কমার কথা স্বীকার করলেও এখন পর্যন্ত যাচাই-বাছাইতেই সীমাবদ্ধ আছেন তাদের কার্যক্রম।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের পাইকারি এলাকা বাজার রোড ঘুরে দেখা যায়, জয়গুরু স্টোরে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। পাশেই জয়কালী ভান্ডারে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৯০ এবং ৫ লিটার ৯৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে। মেসার্স বাবুল স্টোরে ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯১০ টাকায়। এ ছাড়া ফরিয়াপট্টির গোপাল ভান্ডারে প্রতি কেজি খুচরা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি চলছে।

যদিও ৩ অক্টোবর থেকে সরকার প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ 
করেছে ১৭৮ টাকা, যার আগের দাম ছিল ১৯২ টাকা।

এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৪৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কমিয়ে নতুন দর করা হয়েছে ৮৮০ টাকা। অপর দিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫৮ টাকা।

বাজার রোড এবং ফরিয়াপট্টির একাধিক দোকানি অনেকটা জোর দিয়ে বলেন, তেলের দাম যাচাই করে কোনো লাভ নেই। সরকার দাম কমালেই দোকানে দাম কমবে, সে সুযোগ নেই। কোম্পানি কম দামে তেল না পাঠালে সরকারের নির্দেশ মাঠে কার্যকর হবে না।

কথা হয় বাজার রোড সয়াবিন তেল কিনতে আসা মাসুদ আহমেদ নামের এক ব্যাংকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমার। অথচ যে বোতলজাত সয়াবিনের লিটার শনিবার ১৯৫ টাকায় কিনেছেন, সেই তেল এখনো ১৯০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। তাহলে কি সরকার দাম কমালেও বাজারে কমবে না!

একই বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে আসা সাম্মি জাহান নামের এক গৃহবধূ বলেন, খোলা তেল, বোতলজাত তেল কোনোটারই দাম কমেনি। অর্থাৎ সরকারি সিদ্ধান্তে নগরবাসী সয়াবিন কিনতে পারছে না।

এদিকে নগরে চৌমাথা, বটতলা, নতুনবাজার, বাংলাবাজার ঘুরে সয়াবিনের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এ নিয়ে দুই দিন ধরে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে তর্কবিতর্ক চললেও কোম্পানির দোহাই দিয়েই যাচ্ছে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সাধারণ মানুষ এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকিতে গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ্ শোয়াইব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গতকালও অভিযান করেছি নগরের কাউনিয়া, বিসিক, গোড়াচাঁদ দাস রোডে। ওই সব স্থানে মুদিদোকানগুলোতে তেলের দাম যাচাই করা হয়েছে। দোকানিরা এখনো দাম কমাননি। কারণ, নতুন দামের তেল বরিশালে সরবরাহ হয়নি। কোম্পানি নতুন করে সরবরাহ না করলে তেলের দাম কমবে না। ধারণা করছি, এটা কমে যাবে ২-৩ দিনের মধ্যেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্কর

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

গতকাল রাতে ৪৮টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

অহনার দাবি, নিজের দোষ ঢাকতে ডাবল টাইমিংয়ের কথা বলেছেন শামীম

পাকিস্তানে হামলায় ভারত এক দিনেই হারিয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি রুপির সামরিক সরঞ্জাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত