Ajker Patrika

অবশেষে সচল টিকার নিবন্ধন

মনিরামপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ২৪
অবশেষে সচল টিকার নিবন্ধন

যশোরের মনিরামপুরে ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে করোনার টিকার নিবন্ধন। গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে সরকারের সুরক্ষা অ্যাপে ঢুকে টিকার নিবন্ধন করতে পারছেন করোনার টিকা নিতে ইচ্ছুক মানুষেরা।

এর আগে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল মনিরামপুর উপজেলায় টিকার নিবন্ধন। প্রয়োজনীয় সব তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে চেষ্টা করা হলেও টিকার নিবন্ধন নিচ্ছিল না। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পূর্ণ দেখাচ্ছিল। অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করতে বলা হচ্ছিল।

মনিরামপুর বাজারের তাজাম্মুল হোসেন নামে এক কম্পিউটার দোকানি বলেন, ‘প্রতিদিন অনলাইনে করোনার টিকার জন্য অনেকে নিবন্ধন করতে আসতেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিবন্ধন বন্ধ ছিল। সব তথ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে ‘সাবমিট’ বাটনে চাপ দিলে কেন্দ্র পূর্ণ দেখিয়ে অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করতে বলা হচ্ছিল।’

তাজাম্মুল হোসেন বলেন, ‘গত বুধবার দিবাগত রাতে একজনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আবেদন করতে আসেন। তখন চেষ্টা করে নিবন্ধন করে দিতে পেরেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল পর্যন্ত ৯-১০ জনের নিবন্ধন করে দিয়েছি।’

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন বন্ধের বিষয়টি জানতে পেরে দুই দফায় সিভিল সার্জন ও ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমার কাছ থেকে টিকা বন্ধ থাকা সংক্রান্ত একটি বার্তা চেয়েছেন। সেটা দেওয়ার পর নিবন্ধন চালুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাঁরা।’

এর আগেও গত বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে মনিরামপুরে করোনা টিকার নিবন্ধন বন্ধ ছিল।

দুই দফা করোনার টিকার নিবন্ধন বন্ধ থাকায় আজকের পত্রিকায় গত ২৯ অক্টোবর ‘নিবন্ধন হয় না করোনার টিকার’, গত ২৮ জানুয়ারি ‘ফের বন্ধ টিকার নিবন্ধন’ ও সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি ‘মনিরামপুরে ১২ দিন বন্ধ করোনার টিকার নিবন্ধন’ শিরোনামে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয় মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলায় ১২ বছরের ঊর্ধ্বের ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫২ জনকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ২৫০ ব্যক্তি। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ জন। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৫ হাজার জন।’

ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সংখ্যা বাড়াতে সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গ্রাম পর্যায়ে ৫১টি সম্প্রসারিত টিকাদান (ইপিআই) কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত