আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
‘শীত তো অনেক। চরের চারপাশ দিয়ে নদী। যখন পশ্চিমা বাতাস ছাড়ে তখন গা কাঁপে কিন্তু উপায় নাই। শস্য ফলানোর সময় তো এখনই। খেত যত আগে লাগাব তত তাড়াতাড়ি ঘরে ফসল উঠবে। দেরি হলে বৈশাখ মাসে পানির নিচে সব তলিয়ে যাবে। কষ্ট তো আমাদের জীবনের সঙ্গী।’
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার খাটিয়া মারি চরে কথাগুলো বলছিলেন ইসমাইল হোসেন। উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের জনজীবন যখন শীতে বিপর্যস্ত তখন ঠান্ডার কাঁপুনি উপেক্ষা করেই ইসমাইলের মতো অনেক কিষান-কিষানি চরে আবাদে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ সময়ে চরে মরিচ, ভুট্টা, বাদাম, কুমড়া, গম, তিলসহ নানা ফসলের বীজ বপন করা হয়।
মিষ্টিকুমড়া চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সারা বছর প্রকৃত দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করেই বেঁচে থাকতে হয়। এখন ফসল না ফলালে সারা বছর খামু কী? শীতের তিন-চার মাস চরাঞ্চলের সব মানুষই ব্যস্ত থাকি। তাই শীত একটু কম লাগে। আমাদের জীবনটা এভাবেই আল্লাহ মনে হয় তৈরি করছে। আর শীতে নদীভাঙনের ভয় থাকে না। গরমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয় লাগে, কখন যে বসতবাড়ি নদীর মধ্য পড়ে যায়!’
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর দুর্গম চরগুলোতে ২ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। গেল বন্যায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে হাজারখানেক পরিবার সব হারিয়েছে। অনেকে আশপাশের জেলার চরে ঠাঁই নিয়েছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন আলমাস। তিনি জীবনে অনেক ভাঙন দেখেছেন। নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে সারাটা জীবন কেটে গেছে তাঁর। ক্ষুব্ধ আলমাস বলেন, ‘চরের মানুষ সবাই পরিশ্রমী, অন্যর ওপর নির্ভরশীল নয়। তবে চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনের উন্নয়নের কথা বলে অনেকেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছে। কয়েকটি সংস্থা আমাদের দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতারাও আমাদের ব্যবহার করে তাঁদের উন্নতি করে, কিন্তু চরের মানুষের উন্নয়নে তাঁরা কাজ করেন না।’
স্থানীয় এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চরের মানুষ খুবই পরিশ্রমী। চর হচ্ছে শস্য উৎপাদনের ভান্ডার। আমাদের এখানকার মানুষের শীতের সময় শীত, গরমের সময় গরম বেশি লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে শীতে বৃদ্ধ মানুষদের কষ্ট বেশি হয়। এ সময় তাঁদের নিয়ে সমস্যা হয়।’
‘শীত তো অনেক। চরের চারপাশ দিয়ে নদী। যখন পশ্চিমা বাতাস ছাড়ে তখন গা কাঁপে কিন্তু উপায় নাই। শস্য ফলানোর সময় তো এখনই। খেত যত আগে লাগাব তত তাড়াতাড়ি ঘরে ফসল উঠবে। দেরি হলে বৈশাখ মাসে পানির নিচে সব তলিয়ে যাবে। কষ্ট তো আমাদের জীবনের সঙ্গী।’
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার খাটিয়া মারি চরে কথাগুলো বলছিলেন ইসমাইল হোসেন। উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের জনজীবন যখন শীতে বিপর্যস্ত তখন ঠান্ডার কাঁপুনি উপেক্ষা করেই ইসমাইলের মতো অনেক কিষান-কিষানি চরে আবাদে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ সময়ে চরে মরিচ, ভুট্টা, বাদাম, কুমড়া, গম, তিলসহ নানা ফসলের বীজ বপন করা হয়।
মিষ্টিকুমড়া চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সারা বছর প্রকৃত দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করেই বেঁচে থাকতে হয়। এখন ফসল না ফলালে সারা বছর খামু কী? শীতের তিন-চার মাস চরাঞ্চলের সব মানুষই ব্যস্ত থাকি। তাই শীত একটু কম লাগে। আমাদের জীবনটা এভাবেই আল্লাহ মনে হয় তৈরি করছে। আর শীতে নদীভাঙনের ভয় থাকে না। গরমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয় লাগে, কখন যে বসতবাড়ি নদীর মধ্য পড়ে যায়!’
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর দুর্গম চরগুলোতে ২ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। গেল বন্যায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে হাজারখানেক পরিবার সব হারিয়েছে। অনেকে আশপাশের জেলার চরে ঠাঁই নিয়েছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন আলমাস। তিনি জীবনে অনেক ভাঙন দেখেছেন। নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে সারাটা জীবন কেটে গেছে তাঁর। ক্ষুব্ধ আলমাস বলেন, ‘চরের মানুষ সবাই পরিশ্রমী, অন্যর ওপর নির্ভরশীল নয়। তবে চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনের উন্নয়নের কথা বলে অনেকেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছে। কয়েকটি সংস্থা আমাদের দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতারাও আমাদের ব্যবহার করে তাঁদের উন্নতি করে, কিন্তু চরের মানুষের উন্নয়নে তাঁরা কাজ করেন না।’
স্থানীয় এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চরের মানুষ খুবই পরিশ্রমী। চর হচ্ছে শস্য উৎপাদনের ভান্ডার। আমাদের এখানকার মানুষের শীতের সময় শীত, গরমের সময় গরম বেশি লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে শীতে বৃদ্ধ মানুষদের কষ্ট বেশি হয়। এ সময় তাঁদের নিয়ে সমস্যা হয়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪