Ajker Patrika

সরছে মাটি, সেতুতে ঝুঁকি

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১২
সরছে মাটি, সেতুতে ঝুঁকি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা বাজার এলাকায় নির্মিত সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর কোনো সুরাহা না হওয়ায় দুর্ঘটনায় ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মেঘনা বাজার থেকে জালিয়ারচর যাওয়ার পথে মেঘনা বাজারের সঙ্গে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুট। ৩২ লাখ ৪১ হাজার ১১১ টাকা ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন করে ‘মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজ’।

চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা হাজেরা বেগম, চর ইন্দুরিয়া গ্রামের হাসিম ব্যাপারী, মেঘনা বাজার এলাকার কুলছুমা বেগম ও জালিয়ার চরের বাসিন্দা রহিম মাঝি। তাঁরা বলেন, চরের ফসলাদি আনতে হলে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সেতুটি নির্মাণ হতে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সেই আগের মতোই কষ্ট করে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ঝুঁকির কারণে গাড়ি যেতে না পারায় মাথায় করেই মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয়।

উত্তর চরবংশীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ওই এলাকার বাসিন্দা খালেদ হোসেন দেওয়ান বলেন, অপরিকল্পিতভাবে কাঁচা রাস্তা নির্মাণ ও সেতুর দুই পাড়ে মাটি দেওয়ায় বর্ষার সময় তা সরে গেছে। রাস্তার দুই পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে কাজটি করলে এমন হতো না। সেতুতে উঠতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রোকন দেওয়ান বলেন, সেতু ও রাস্তাটি করার পর গত বর্ষায় দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে এলাকার জনগণ ও বিশেষ করে চাষিদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

ঠিকাদার মেহেদী হাসান শিশির পাঠান বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২-৩ বার সেতুর দুই পাড় মেরামত করা হয়েছে। বর্ষায় পানির তোড়ে মাটি সরে যাওয়ায় এ ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। এ রকম হতে থাকলে আমার করার কিছু থাকে না।’

উত্তর চরবংশী ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘সেতুর দুই পাড়ের মাটি না থাকার বিষয়টি আমিও দেখেছি। যেহেতু ঠিকাদার বা পিআইও অফিস থেকে এখনো করছে না, তাই নিজের উদ্যোগে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেব।’

এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দের বক্তব্য জানার জন্য মোবাইলে কল করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয়নি। মেরামত করেই তাঁকে বিল নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত