মোসাইদ রাহাত, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। নিয়মানুযায়ী বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারের কাজে কৃষকদের সম্পৃক্ত করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনেরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। এতে বাঁধের নির্মাণকাজে গড়িমসির ঘটনাও ঘটছে। কাগজ-কলমে বাঁধের কাজের অগ্রগতির তথ্য মিললেও বাস্তবের চিত্র ভিন্ন।
পাউবোর তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুনামগঞ্জে ৫৯২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৭৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাজ শুরু করেছে ৬৭৭টি কমিটি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত হাওরে বাঁধের ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ১০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক প্রকল্প কমিটি এখনো তাদের নির্ধারিত বাঁধে মাটিই ফেলেনি, আবার অনেক জায়গায় পুরোনো বাঁধের মাটি দিয়েই নতুন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। বাঁধের পাশে যাদের জমি আছে, তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে রাখার কথা থাকলেও শান্তিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বজনদের ঠাঁই হয়েছে কমিটিতে। এ ছাড়া অনেক এলাকায় অপ্রয়োজনীয় বাঁধ তৈরির প্রকল্পও নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। বিপরীতে লাভবান হচ্ছে একটি পক্ষ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে পিআইসি গঠনে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে। ইউনিয়নের খাই হাওরে ৩১ ও ৩৩ নম্বর প্রকল্পে তাঁর ভাই সাবেক ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান, ভাগনে কোহিনুর মিয়া ও ‘কথিত’ ব্যক্তিগত সহকারী মিলাদ হোসেন সাদ্দামকে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাদ্দাম হোসেনকে পিআইসি থেকে বাদ দিতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ২৩ কৃষক, ৭ ইউপি সদস্যসহ ৩০ জন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বাসিন্দা মকবুল হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নের জগাইরগাঁও এলাকায় যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি অপ্রয়োজনীয়। এখানে পুরোনো মাটির ওপর নতুন মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি দেখতে পাচ্ছি। কাগজ-কলমে বাঁধের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পেশ করলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। এখনো অধিকাংশ বাঁধে মাটিই পড়েনি। কাজ শেষের নির্ধারিত সময়ের আর বাকি আছে ৩৫ দিন। এখনো ২০ শতাংশ কাজও হয়নি। আবারও যদি বন্যার কারণে কৃষকের ফসলহানি হয়, তাহলে ২০১৭ সালের আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি হবে।’
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে শুভংকরের ফাঁকি হচ্ছে—মন্তব্য করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরের মানুষকে জানিয়ে কাজ করছে, সেটি মনে হচ্ছে না। তারা কারও কোনো পরামর্শ গ্রহণ করছে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো, যা করার দরকার তা-ই করছে।
বাঁধগুলো রক্ষণাবেক্ষণের যে দায়িত্ব তারা নিয়েছে, সেখানেও শুভংকরের ফাঁকি দেখতে পাচ্ছি। হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য অবশ্যই একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (২) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বুধবার পর্যন্ত হাওরে বাঁধ নির্মাণকাজের ২৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, তবে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেও অন্যান্য কাজ করতে আমরা ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়াতে আবেদন করব। বাঁধ নিয়ে কোনো অভিযোগ এলে, সেটি মনিটরিং সেল দেখবে।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। পিআইসি গঠনে অনিয়মের যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তদন্ত করে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। নিয়মানুযায়ী বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারের কাজে কৃষকদের সম্পৃক্ত করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনেরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। এতে বাঁধের নির্মাণকাজে গড়িমসির ঘটনাও ঘটছে। কাগজ-কলমে বাঁধের কাজের অগ্রগতির তথ্য মিললেও বাস্তবের চিত্র ভিন্ন।
পাউবোর তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুনামগঞ্জে ৫৯২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৭৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাজ শুরু করেছে ৬৭৭টি কমিটি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত হাওরে বাঁধের ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ১০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক প্রকল্প কমিটি এখনো তাদের নির্ধারিত বাঁধে মাটিই ফেলেনি, আবার অনেক জায়গায় পুরোনো বাঁধের মাটি দিয়েই নতুন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। বাঁধের পাশে যাদের জমি আছে, তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে রাখার কথা থাকলেও শান্তিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বজনদের ঠাঁই হয়েছে কমিটিতে। এ ছাড়া অনেক এলাকায় অপ্রয়োজনীয় বাঁধ তৈরির প্রকল্পও নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। বিপরীতে লাভবান হচ্ছে একটি পক্ষ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে পিআইসি গঠনে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে। ইউনিয়নের খাই হাওরে ৩১ ও ৩৩ নম্বর প্রকল্পে তাঁর ভাই সাবেক ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান, ভাগনে কোহিনুর মিয়া ও ‘কথিত’ ব্যক্তিগত সহকারী মিলাদ হোসেন সাদ্দামকে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাদ্দাম হোসেনকে পিআইসি থেকে বাদ দিতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ২৩ কৃষক, ৭ ইউপি সদস্যসহ ৩০ জন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বাসিন্দা মকবুল হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নের জগাইরগাঁও এলাকায় যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি অপ্রয়োজনীয়। এখানে পুরোনো মাটির ওপর নতুন মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি দেখতে পাচ্ছি। কাগজ-কলমে বাঁধের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পেশ করলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। এখনো অধিকাংশ বাঁধে মাটিই পড়েনি। কাজ শেষের নির্ধারিত সময়ের আর বাকি আছে ৩৫ দিন। এখনো ২০ শতাংশ কাজও হয়নি। আবারও যদি বন্যার কারণে কৃষকের ফসলহানি হয়, তাহলে ২০১৭ সালের আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি হবে।’
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে শুভংকরের ফাঁকি হচ্ছে—মন্তব্য করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরের মানুষকে জানিয়ে কাজ করছে, সেটি মনে হচ্ছে না। তারা কারও কোনো পরামর্শ গ্রহণ করছে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো, যা করার দরকার তা-ই করছে।
বাঁধগুলো রক্ষণাবেক্ষণের যে দায়িত্ব তারা নিয়েছে, সেখানেও শুভংকরের ফাঁকি দেখতে পাচ্ছি। হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য অবশ্যই একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (২) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বুধবার পর্যন্ত হাওরে বাঁধ নির্মাণকাজের ২৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, তবে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেও অন্যান্য কাজ করতে আমরা ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়াতে আবেদন করব। বাঁধ নিয়ে কোনো অভিযোগ এলে, সেটি মনিটরিং সেল দেখবে।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। পিআইসি গঠনে অনিয়মের যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তদন্ত করে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪