সম্পাদকীয়
নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে পত্রিকায় অন্য কোনো খবর খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন একেবারে একপেশে হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা কোথাও কোথাও নির্বাচনকে আকর্ষণীয় করে তুলছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বহু জায়গাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন। কে জিতবেন, সে বিষয়ে পূর্ব ধারণা করা সম্ভব নয়।
নির্বাচনী উত্তেজনার পাশাপাশি অন্য যে বিষয়গুলো আড়ালে থেকে যাচ্ছে, সেগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বুধবার আজকের পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া একটি সংবাদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাই। নেত্রকোনার পূর্বধলায় রেললাইনের স্লিপার থেকে কী করে নাট খুলে গেল, তা নিয়ে দুই রকম কথা শোনা যাচ্ছে। পূর্বধলা স্টেশন কর্তৃপক্ষ আর আনসার-ভিডিপি বলছে, রাতে কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে ডগপিনগুলো খুলে নিয়েছে। পুলিশ আর প্রশাসন বলছে, এটা সে রকম কোনো বিষয় নয়। দীর্ঘদিন তদারকি না থাকায় ট্রেনের ঝাঁকিতে ডগপিনগুলো খুলে গেছে।
নির্বাচনী-প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য কেউ স্লিপারের ডগপিন যদি খুলে থাকে, তাহলে তা নাশকতার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন, আমাদের দেশে যুক্তি-তর্কের চেয়ে নাশকতার ভাষায় কথা বলার একটা রেওয়াজ আছে বটে, তবে তার সবটাই দেশপ্রেমের কারণে করা হয় না; বরং নিজের স্বার্থরক্ষার জন্য সাধারণ জনগণের জীবনকে জিম্মি করে এসব ঘটানো হয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, কারা ঘটনাটা ঘটাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়টায় ট্রেনে সহিংসতা চালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনা বিগত বছরের শেষ দিনগুলোয় ঘটেছে। যারাই তা ঘটিয়ে থাকুক না কেন, সেটা কোনোভাবেই রাজনীতি নয়, নাশকতা।
অন্যদিকে পুলিশ আর প্রশাসন যে কথা বলছে, তা-ও ভয়াবহ ঘটনা। নাশকতার চেয়ে কোনো অংশে তা কম নয়। এখানেও জিম্মি হয়ে আছে যাত্রীরা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন যদি তদারকিই না থাকে, তাহলে তো যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর তাতে প্রাণ যেতে পারে নিরীহ যাত্রীদের। তাই প্রশ্ন করা দরকার, কাদের ওপর ছিল তদারকি করার দায়িত্ব। ‘দীর্ঘদিন’ তাঁরা কেন তদারকি করেননি?
যাঁদের ওপর দায়িত্ব ছিল তদারকির কাজ দেখাশোনা করার, তাঁরা আসলে কী করেছেন? সরকারি চাকরি কি এ রকম ‘তদারকিবিহীন’ স্বেচ্ছাচারে পরিণত হয়েছে?
নাশকতার কারণে হোক বা তদারকিহীনতার কারণে হোক, সত্য হলো পূর্বধলার স্লিপারের ডগপিন খোলা ছিল। যদি সময়মতো আনসার সদস্যরা বালুঘাট এলাকায় স্লিপারের নাট খোলা দেখতে না পেতেন, তাহলে আরেকটি দুঃসংবাদের মুখোমুখি হতে হতো আমাদের। বেশ কয়েকটি ডগপিন তুলে ফেলার কারণে মনে সন্দেহ জাগে, এটা নিশ্চয়ই নাশকতার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এদের খুঁজে বের করা দরকার। আর যদি ব্যাপারটা নাশকতা না হয়, শুধু তদারকির অভাবকেই দায়ী করা হয়, তাহলেও তো দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
জনগণকে জিম্মি করে কোনো ধরনের ঘটনাই ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।
নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে পত্রিকায় অন্য কোনো খবর খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন একেবারে একপেশে হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা কোথাও কোথাও নির্বাচনকে আকর্ষণীয় করে তুলছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বহু জায়গাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন। কে জিতবেন, সে বিষয়ে পূর্ব ধারণা করা সম্ভব নয়।
নির্বাচনী উত্তেজনার পাশাপাশি অন্য যে বিষয়গুলো আড়ালে থেকে যাচ্ছে, সেগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বুধবার আজকের পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া একটি সংবাদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাই। নেত্রকোনার পূর্বধলায় রেললাইনের স্লিপার থেকে কী করে নাট খুলে গেল, তা নিয়ে দুই রকম কথা শোনা যাচ্ছে। পূর্বধলা স্টেশন কর্তৃপক্ষ আর আনসার-ভিডিপি বলছে, রাতে কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে ডগপিনগুলো খুলে নিয়েছে। পুলিশ আর প্রশাসন বলছে, এটা সে রকম কোনো বিষয় নয়। দীর্ঘদিন তদারকি না থাকায় ট্রেনের ঝাঁকিতে ডগপিনগুলো খুলে গেছে।
নির্বাচনী-প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য কেউ স্লিপারের ডগপিন যদি খুলে থাকে, তাহলে তা নাশকতার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন, আমাদের দেশে যুক্তি-তর্কের চেয়ে নাশকতার ভাষায় কথা বলার একটা রেওয়াজ আছে বটে, তবে তার সবটাই দেশপ্রেমের কারণে করা হয় না; বরং নিজের স্বার্থরক্ষার জন্য সাধারণ জনগণের জীবনকে জিম্মি করে এসব ঘটানো হয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, কারা ঘটনাটা ঘটাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়টায় ট্রেনে সহিংসতা চালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনা বিগত বছরের শেষ দিনগুলোয় ঘটেছে। যারাই তা ঘটিয়ে থাকুক না কেন, সেটা কোনোভাবেই রাজনীতি নয়, নাশকতা।
অন্যদিকে পুলিশ আর প্রশাসন যে কথা বলছে, তা-ও ভয়াবহ ঘটনা। নাশকতার চেয়ে কোনো অংশে তা কম নয়। এখানেও জিম্মি হয়ে আছে যাত্রীরা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন যদি তদারকিই না থাকে, তাহলে তো যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর তাতে প্রাণ যেতে পারে নিরীহ যাত্রীদের। তাই প্রশ্ন করা দরকার, কাদের ওপর ছিল তদারকি করার দায়িত্ব। ‘দীর্ঘদিন’ তাঁরা কেন তদারকি করেননি?
যাঁদের ওপর দায়িত্ব ছিল তদারকির কাজ দেখাশোনা করার, তাঁরা আসলে কী করেছেন? সরকারি চাকরি কি এ রকম ‘তদারকিবিহীন’ স্বেচ্ছাচারে পরিণত হয়েছে?
নাশকতার কারণে হোক বা তদারকিহীনতার কারণে হোক, সত্য হলো পূর্বধলার স্লিপারের ডগপিন খোলা ছিল। যদি সময়মতো আনসার সদস্যরা বালুঘাট এলাকায় স্লিপারের নাট খোলা দেখতে না পেতেন, তাহলে আরেকটি দুঃসংবাদের মুখোমুখি হতে হতো আমাদের। বেশ কয়েকটি ডগপিন তুলে ফেলার কারণে মনে সন্দেহ জাগে, এটা নিশ্চয়ই নাশকতার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এদের খুঁজে বের করা দরকার। আর যদি ব্যাপারটা নাশকতা না হয়, শুধু তদারকির অভাবকেই দায়ী করা হয়, তাহলেও তো দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
জনগণকে জিম্মি করে কোনো ধরনের ঘটনাই ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫