Ajker Patrika

মুরগি ও গরুর খামারে স্বাবলম্বী আইরিন

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪৪
মুরগি ও গরুর খামারে স্বাবলম্বী আইরিন

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের আফরোজা আক্তার আইরিন মুরগি ও গরুর খামার করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি তাঁর এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি ও শ্রম দিয়েই দরিদ্রতার অবসান ঘটানো সম্ভব। আফরোজা আক্তার আইরিন কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পালটিয়া গ্রামের মো. আতর মিয়ার স্ত্রী। আইরিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাইরাসজনিত কারণে মুরগির খামারে অনেক মুরগি মারা যাওয়ায় তিনি কিছুটা লোকসানের মধ্যে আছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে উপকৃত হবেন। অন্যদিকে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বলছে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ের পরিসর আরও বাড়াতে পারবেন আইরিন।

সম্প্রতি আইরিনের খামারে গেলে দেখা যায়, একটি খামারে ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি ও অপর একটি খামারে ৫ হাজার কর্ক মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারে ৫ থেকে ৬ জন নারী শ্রমিক কাজ করলেও সব সময় তদারকি করে যাচ্ছেন আইরিন। তাঁকে সার্বিক সাহায্য করছেন স্বামী আতর মিয়া।

আতর মিয়া বলেন, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করলে সংসারে দরিদ্রতা থাকে না। সচ্ছলতা আসে। মুরগির খামারের লাভের টাকা সঞ্চয় করে আমরা তৈরি করেছি একটি গরুর খামার। খামারে ১০টি গরু ছিল। ৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি গরু মারা যাওয়ায় এখন ৮টি গরু রয়েছে।

এ নিয়ে জানতে চাইলে আইরিন বলেন, ‘আমি প্রথমে এক হাজার মুরগি নিয়ে খামার শুরু করি এবং লাভবান হই। এখন আমার দুইটা মুরগির খামারে দশ হাজার মুরগি আছে। পাশাপাশি গরুর খামার করেছি। আমার দশটা গরু ছিল। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের দুইটা উন্নত জাতের গরু মারা গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ভাইরাস জনিত কারনে মুরগির খামারে অনেকগুলো মুরগি মারা যাওয়ায় আমি এখন হতাশার মধ্যে আছি। সরকারী সহযোগিতা ও ভর্তুকি পেলে আমি ও আমার খামারে কর্মরত শ্রমিকেরা উপকৃত হতাম।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মুরগি পালনের ওপর যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন আইরিন। প্রশিক্ষণের নেওয়ার পর ঋণ নিয়ে তিনি ব্যবসায়ের পরিসর আরও বাড়াতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত