Ajker Patrika

চারাসংকটে বোরো চাষ ব্যাহত

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১৩: ০৮
চারাসংকটে বোরো চাষ ব্যাহত

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পড়েছে বোরো চাষে। জলাবদ্ধতা ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সময়মতো বোরো চাষ করতে পারছেন না মাদারীপুরের চাষিরা। এতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, মাদারীপুরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর। সেখানে বীজতলা করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মাদারীপুর সদরে ৯ হাজার ৮০২ হেক্টর, কালকিনিতে ১০ হাজার ৬১০, রাজৈরে ১০ হাজার ১০০ ও শিবচরে ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বীজতলা ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বোরো চাষ দেরি হচ্ছে। জানা গেছে, সাধারণত মাঘের শেষ দিকে বোরোর চারা রোপণ শেষ হয়। কিন্তু এ বছর ফাল্গুন মাসে জমি তৈরি শেষ করতে পারেননি কৃষকেরা।

এদিকে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ধানের চারার চাহিদা বেড়েছে। এতে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চারা। এ ছাড়া সার, শ্রমিকসংকট ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় বোরো আবাদে বাড়ছে খরচ। এতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে জাওয়াদের কারণে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বীজতলা তৈরি, চাষিদের উন্নত জাতের বোরো চারার প্রণোদনা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো আবাদ হবে বলে আশাবাদী মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মাদারীপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মাদারীপুরের পাঁচ উপজেলায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। অথচ অন্য বছর এ সময় বোরোর খেত সবুজ পাতায় ছেয়ে যায়। এ বছর অনেকেই চারা লাগাতে পারেননি। হাঁটুপানিতে তলিয়ে থাকায় আবর্জনা পরিষ্কার করে চারা রোপণের জন্য জমি তৈরিতে দেরি হচ্ছে। ফলে শত শত হেক্টর জমি এখনো চাষ দিতে পারেননি চাষিরা। জাওয়াদের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয়বারের বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে। কিন্তু বীজতলায় চারা ভালো হয়নি।

সদর উপজেলার কুনিয়ার দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মহব্বত ব্যাপারী বলেন, এ বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করা যায়নি। যে কারণে ধান রোপণে দেরি হচ্ছে। অন্য বছর এই সময়ে বোরোর চারা রোপণকাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার তা হয়নি। এতে ধানের ফলন আসার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষা চলে আসবে।

কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ধানের চারার উচ্চমূল্য, শ্রমিকসংকট, হাল ও সারের দাম বেশি হওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছি। অন্য বছর বোরো আবাদে বিঘায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হতো। এ বছর হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় চারা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জাওয়াদের কারণে বীজতলার বেশকিছু ক্ষতি হয়েছে। তারপরও চাষিভাইরা বীজতলা তৈরি করতে পেরেছেন। হয়তো বোরো আবাদ কিছুটা বিলম্বিত হবে। আশা করছি, জমিতে বোরো আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত