Ajker Patrika

ব্যয় কম, বাড়ছে সূর্যমুখী চাষ

গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৮
ব্যয় কম, বাড়ছে সূর্যমুখী চাষ

খরচ ও শ্রম কম লাগার পাশাপাশি রোগবালাই তেমন না হওয়ায় গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর চরে বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। চলতি মৌসুমে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে চরের খেতগুলো। হলুদ ফুলের সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করতে মাঠে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।

তিস্তার মহিপুর পূর্ব চরে গিয়ে দেখা গেছে, খেতজুড়ে ফোটা সূর্যমুখী ফুল পুবালি বাতাসে দোল খাচ্ছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় হলুদের সমুদ্র। আশপাশের সবুজের মধ্যে সূর্যমুখীর খেত চরের সৌন্দর্য বর্ধন করেছে কয়েক গুণ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার চরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৫০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে চরে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সূর্যমুখীর বীজ, সার দেওয়া হয়েছে। তিন বছর ধরে উপজেলায় এ ফসলের চাষ হচ্ছে।

চরে কথা হয় পূর্ব মহিপুর গ্রামের সুর্যমুখীচাষি শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি এবার ২০ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তিনি জানান, সূর্যমুখী চাষে খরচ ও শ্রম কম। এ ফসল চাষে ঝুঁকি তেমন নেই। খেতে বীজ বপনের ১২০ দিনের মাথায় ফুল থেকে বীজ পাওয়া যায়। এই বীজ থেকে তৈরি তেল খুবই স্বাস্থ্যকর। তাই সূর্যমুখীর চাষ করেছেন।

শাহিনুর বলেন, ‘ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এবার ভালোই লাভ হবে। কিন্তু দর্শনার্থীরা ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ায় দিনরাত খেত পাহারা দিচ্ছি।’

আরেক চাষি মালপের বাজার গ্রামের রুবেল চৌধুরী বলেন, সূর্যমুখীর চাষ খুব সহজ। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২২ ইঞ্চি এবং ৮ ইঞ্চি পর পর বীজ বপন করতে হয়। লাগানোর এক মাস পর একবার সেচ দিতে হয়। এ খেতে তেমন পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই হয় না।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, সূর্যমুখীর চাষ বৃদ্ধির জন্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি বিভাগ এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে। কৃষকেরাও এ ফুল চাষে সফলতা পাচ্ছেন। পরিশ্রম কম ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকেরা এ চাষে ঝুঁকছেন। দুই বছর আগেও এ ফসলের চাষ এলাকায় তেমন চোখে পড়ত না। এখন কৃষকেরা স্বাচ্ছন্দ্যে সূর্যমুখীর চাষ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে মূলধন কম লাগে, রোগবালাই নেই বললেই চলে, লাভও দ্বিগুণ। আমরা সূর্যমুখীর চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সব সময় উৎসাহিত করছি। যাঁরা সূর্যমুখীর চাষ করেছেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত