Ajker Patrika

ভেনিস উৎসবের সেরা সিনেমা ‘পুওর থিংস’

ভেনিস উৎসবের সেরা সিনেমা ‘পুওর থিংস’

শেষ হলো ৮০তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠানের সমাপনী আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উৎসব শুরু হয়েছিল গত ৩০ আগস্ট। এবারের উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয় ২৩টি সিনেমা। এগুলোর মধ্যে এশিয়ার একমাত্র সিনেমা জাপানের রিয়ুসুকে হামাগুচি পরিচালিত ‘এভিল ডাজ নট একজিস্ট’ জিতেছে গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড। উৎসবে মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন লায়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যুক্তরাজ্যের সিনেমা ‘পুওর থিংস’।

পরাবাস্তব কমেডি সিনেমা ‘পুওর থিংস’-এর গল্প আত্মহত্যা করা বেলা ব্যাক্সটার নামের এক মেয়েকে কেন্দ্র করে। মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করে মেয়েকে পুনরুজ্জীবিত করেন বিজ্ঞানী বাবা। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও তার সবকিছু শিশুসুলভ। নিজেকে আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে স্বাধীন ও যৌন নিরীক্ষায় উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে সে। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী এমা স্টোন। পুরস্কার হাতে নিয়ে সিনেমার সাফল্যের জন্য এমা স্টোনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন পরিচালক ইয়োরগস ল্যানথিমস। ১ সেপ্টেম্বর ভেনিসে পুওর থিংস সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনী দেখে টানা আট মিনিট দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান দর্শকেরা। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত স্কটিশ কথাসাহিত্যিক অ্যালাসডেয়ার গ্রের ‘পুওর থিংস’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য।

হাইস্কুলের দুই সহপাঠীর পুনর্মিলনকে কেন্দ্র করে তৈরি ‘মেমোরি’ সিনেমায় দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরা অভিনেতা হয়েছেন পিটার সার্সগার্ড। ‘প্রিসিলা’ বায়োপিকে সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলির স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন কেইলি স্পেনি।

ভেনিস উৎসবকে চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক পুরস্কার মৌসুমের সূত্রপাত হিসেবে দেখেন বোদ্ধারা। কারণ, এই আয়োজনে নির্বাচিত সিনেমা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অস্কারে ফেবারিট থাকে। তবে হলিউডে অভিনয়শিল্পী ও চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘটের কারণে উৎসবে হেভিওয়েট তারকাদের দেখা মেলেনি এবার। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে জৌলুশহীন ছিল আসর। উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজন সঞ্চালনা করেছেন ইতালিয়ান অভিনেত্রী ক্যাতেরিনা মুরিনো।

গোল্ডেন লায়ন হাতে ইয়োরগসউৎসবের বিজয়ীরা

গোল্ডেন লায়ন (আজীবন সম্মাননা): ইতালীয় নির্মাতা লিলিয়ানা কাভানি ও হংকংয়ের অভিনেতা টনি লিয়ু

গোল্ডেন লায়ন (সেরা সিনেমা): পুওর থিংস, যুক্তরাজ্য (নির্মাতা ইয়োরগস ল্যানথিমস) 

গ্র্যান্ড জুরি সিনেমা: এভিল ডাজ নট একজিস্ট, জাপান (নির্মাতা রিয়ুসুকে হামাগুচি) 

সেরা পরিচালক: ম্যাতিও গ্যারন, ইতালি (মি. ক্যাপ্টেন)

সেরা অভিনেত্রী: কেইলি স্পেনি (প্রিসিলা)

সেরা অভিনেতা: পিটার সার্সগার্ড (মেমোরি)

সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী: সেদু সার (মি. ক্যাপ্টেন)
সেরা চিত্রনাট্যকার: পাবলো ল্যারেন ও গিলের্মো কালদেরন, চিলি (এল কন্দে)
লায়ন অব দ্য ফিউচার (সেরা 

ডেব্যু ফিল্ম): লাভ ইজ আ গান, হংকং (লি হং চি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত