দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপ সদরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অধিকাংশ পণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
সরেজমিনে উপজেলার চালনা বাজার, পানখালী, বটবুনিয়া, কালিনগর, শ্রীনগন, সুতারখালি, নলিয়ান, দাকোপ, কৌলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্ত, লাউডোব, বাজুয়া ও পোদ্দারগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কয়েক মাস ধরে চাল, ডাল, তেল, ডিম, আটা, ময়দা, মুরগি, খাসি, গরু ও মাছ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটা বেড়েছে।
বাজারে সাধারণ মানের মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক মাস আগে ছিল ৩৮-৪০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬০-১৬২ টাকা, সরিষার তেল ২২০-২২৫ টাকা। মোটা দানা মসুরি ডাল ৮৫-৯০ টাকা ও চিনি প্রতি কেজির ৮০-৮৩ টাকায়।
এই উত্তাপ সবজি বাজারেও ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালীন শাক সবজির দাম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিকেজি ফুলকপি ও ওলকপি ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০, বাঁধাকপি ৪০-৫০, কাঁচালঙ্কা ১৫০-১৬০, মুলা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে আলু ২৫ টাকা, রসুন ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০-৯০০, গরুর মাংস ৫৫০-৬০০, পোলট্রি মুরগির মাংস ১৭০-১৮০ ও দেশি মুরগির মাংস ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১২-১৪শ টাকা, জাটকা ইলিশ ৪৫০-৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, পারশে মাছ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় চালনা পৌরসভার মনিরুজ্জামান সানার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবকিছু কেনার পরেও টাকা থেকে যেত। কিন্তু এখন ৫০০ টাকায় তেমন কিছুই হয় না। দ্রব্যমূল্য বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।’
কথা হয় ভ্যানচালক লিটনের সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা আয় করি। চাল কেনার পর অন্য অন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক দিন আয় কম হওয়ায় দুই বেলা খেয়ে থাকতে হয়। খুব কষ্টে আছি।’
চালনা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সফি শেখ বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কাঁচামালের দাম অনেক চড়া। তার পরে আবার পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে। ফলে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য কিছুটা বেড়েছে। তবে যদি কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
দাকোপ সদরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অধিকাংশ পণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
সরেজমিনে উপজেলার চালনা বাজার, পানখালী, বটবুনিয়া, কালিনগর, শ্রীনগন, সুতারখালি, নলিয়ান, দাকোপ, কৌলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্ত, লাউডোব, বাজুয়া ও পোদ্দারগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কয়েক মাস ধরে চাল, ডাল, তেল, ডিম, আটা, ময়দা, মুরগি, খাসি, গরু ও মাছ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটা বেড়েছে।
বাজারে সাধারণ মানের মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক মাস আগে ছিল ৩৮-৪০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬০-১৬২ টাকা, সরিষার তেল ২২০-২২৫ টাকা। মোটা দানা মসুরি ডাল ৮৫-৯০ টাকা ও চিনি প্রতি কেজির ৮০-৮৩ টাকায়।
এই উত্তাপ সবজি বাজারেও ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালীন শাক সবজির দাম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিকেজি ফুলকপি ও ওলকপি ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০, বাঁধাকপি ৪০-৫০, কাঁচালঙ্কা ১৫০-১৬০, মুলা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে আলু ২৫ টাকা, রসুন ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০-৯০০, গরুর মাংস ৫৫০-৬০০, পোলট্রি মুরগির মাংস ১৭০-১৮০ ও দেশি মুরগির মাংস ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১২-১৪শ টাকা, জাটকা ইলিশ ৪৫০-৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, পারশে মাছ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় চালনা পৌরসভার মনিরুজ্জামান সানার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবকিছু কেনার পরেও টাকা থেকে যেত। কিন্তু এখন ৫০০ টাকায় তেমন কিছুই হয় না। দ্রব্যমূল্য বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।’
কথা হয় ভ্যানচালক লিটনের সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা আয় করি। চাল কেনার পর অন্য অন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক দিন আয় কম হওয়ায় দুই বেলা খেয়ে থাকতে হয়। খুব কষ্টে আছি।’
চালনা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সফি শেখ বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কাঁচামালের দাম অনেক চড়া। তার পরে আবার পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে। ফলে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য কিছুটা বেড়েছে। তবে যদি কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪