Ajker Patrika

সুখে-দুঃখে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৫: ৩৮
সুখে-দুঃখে  আল্লাহর প্রতি  কৃতজ্ঞতা

জীবনসংগ্রাম করাই মানুষের বৈশিষ্ট্য। এ সংগ্রামে কেউ জয়লাভ করে সুখী হয়, আবার কেউ পরাজিত হয়ে দুঃখ পায়। মানবজীবনে সুখ-দুঃখ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তবে দুঃখ-সুখ কারও জীবনে চিরস্থায়ী নয়। আজ যে সুখী আগামীকাল সে দুঃখীও হতে পারে আবার আজ যে দুঃখী আগামীকাল সে সুখীও হতে পারে। আল্লাহ এসব ভালো-মন্দ অবস্থা মানুষের মাঝে আবর্তন করে থাকেন। যাতে তিনি প্রকৃত ইমানদারকে যাচাই-বাছাই করে নিতে পারেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘আর এই সব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ইমানদারদের জেনে নেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৪০)

ইমানদার বান্দাগণের বৈশিষ্ট্য হলো দুঃখ ও সুখ উভয় অবস্থাতেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। সুখের অবস্থায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাৎপর্য সবারই জানা। কিন্তু দুঃখের অবস্থায় কৃতজ্ঞতার মর্মার্থ হলো, আল্লাহ যে বান্দাকে দুঃখের মধ্যে রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করেন, তিনি তাকে আরও দুঃখের মধ্যে রাখতে পারতেন। যেহেতু আরও বড় বিপদে ফেলেননি, তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অত্যাবশ্যক। মহানবী (সা.)-এর জীবনী পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি ইসলামের প্রাথমিক যুগে যত কষ্ট করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তা আর করতে হয়নি। এটি আল্লাহর কৃপা ও তাঁর একান্ত প্রচেষ্টার ফল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমার জন্য পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম হবে।’ (সুরা দোহা: ৪) আল্লাহ আরও বলেন, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬)

রাত যত গভীর হয় ভোর হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। মানুষের জীবনে যত দুঃখ-কষ্ট আসে ততই সৌভাগ্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়। তাই দুঃখ এলে মন খারাপ না করে অবস্থা পরিবর্তনের নিমিত্তে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত