Ajker Patrika

দেড় বছর ধরে কালভার্ট ভাঙা, চলাচলে ঝুঁকি

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৫
দেড় বছর ধরে কালভার্ট ভাঙা, চলাচলে ঝুঁকি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের বাটিকামাড়া থেকে উপজেলা পরিষদের সড়কটির শ্রী শ্রী কালী মায়ের মন্দিরের সামনে কালভার্টটি দেড় বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। পাকা রাস্তার ওপর নির্মিত কালভার্টটির অর্ধেকাংশই ভাঙা। যাতায়াতকারীদের সতর্ক করার জন্য ভাঙা অংশে গাছে গুঁড়ি দিয়ে রেখেছেন স্থানীয়রা। যানবাহন চলাচলে কিংবা পথচারীদের একটু অসতর্কতায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

কালভার্টটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে মাত্র মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে। এ জন্য চলাচলে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে কালভার্টটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৈনন্দিন প্রয়োজনে এ পথে চলাচল করছে শত শত যানবাহন ও স্থানীয় জনগণ। কিন্তু ভাঙা কালভার্টের দেড় বছর পার হলেও সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এতে করে এ পথে যাতায়াতকারী জনসাধারণ এবং ছোটবড় যানবাহন চালকেরা মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, বাটিকামারা শ্রী শ্রী কালী মায়ের মন্দিরের সামনেই পানি প্রবাহ বিলের ওপর রয়েছে ছোট এবং বেশ পুরোনো কালভার্টটি। উপজেলার জগন্নাথপুর, শিলাইদহ ও সদকী ইউনিয়নের কিছু অংশের জনগণ ও যানবাহন চলাচল করে এই কালভার্ট দিয়ে। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী খোকসা উপজেলার কিছু অংশের মানুষও চলাচল করে এই পথ দিয়ে। এ জন্য আকারে ছোট হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই কালভার্টটি। কিন্তু দেড় বছর ধরে অর্ধেকাংশ ভেঙে পড়ে আছে কালভার্টটির।

সরেজমিন দেখা যায়, বাটিকামারা শ্রী শ্রী কালী মায়ের মন্দিরের সামনের কালভার্টটির অর্ধেকাংশ ভেঙে বড় গর্ত হয়ে গেছে। মরা গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে সেই গর্তের ভেতর। বাকি অর্ধেকাংশ দিয়ে চলছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, অটো, মোটরসাইকেল, মাইক্রোসহ অন্যান্য যানবাহন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচল করছে কালভার্ট দিয়ে।

অটোচালক রশিদ শেখ বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে কালভার্টটি ভাঙা। ভাঙা কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিনই যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। যাত্রীরা ভয় পায়। অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে কালভার্ট পার হতে হয়।

জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের ফল ব্যবসায়ী তাজমুল হোসেন বলেন, কালভার্টটির ভাঙা স্থানে স্থানীয়রা গাছের গুঁড়ি দিয়ে রেখেছে। কালভার্টটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও চলাচল করতে হচ্ছে মানুষ যানবাহনের চালকদের।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা শহরের চলাচলের সহজ পথ এটি। প্রতিদিনই এখান দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। তাই চলাচলে ঝুঁকি কমাতে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।’

কুমারখালীর প্রসিদ্ধ রমেশ দধি ভান্ডারের প্রোপ্রাইটর সুধাংশ ঘোষ বলেন, এই পথ দিয়েই মালামাল নিয়ে চলাচল করি। মন্দিরের সামনের কালভার্টটি অনেক দিনই হলো ভেঙে আছে। কর্তৃপক্ষের কোনো খোঁজ নেই। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কালভার্টটির বেহাল অবস্থা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘এটি সমন্ধে অবগত আছি। আমিও নানান কাজে এই কালভার্টের ওপর দিয়েই চলাচল করি। এটি নতুনভাবে নির্মাণ করতে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাস হলেই সমস্যার সমাধান হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘শহরের খুব কাছেই কালভার্টের অবস্থান। ব্যস্ততাও বেশ। জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত