Ajker Patrika

বেড়েছে ভারত যাতায়াত

বেনাপোল প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৭
বেড়েছে ভারত যাতায়াত

করোনা সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলে আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। ভারত যাতায়াতে লাগছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের ছাড়পত্র। থাকছে হচ্ছে না ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনেও।

শুধু করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেই যাত্রীদের সুযোগ মিলছে ভারত গমনের। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। যাতায়াতকারী এসব যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছেন রোগী ও স্বজন, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে স্থলপথে ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত।

গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভারতে যাতায়তে দূতাবাসের অনাপত্তি সনদের শর্ত শিথিল করে সরকার। এর পরপরই বাড়তে শুরু করে দুই দেশের যাত্রী যাতায়াত।

সে সময়ে প্রথম দিকে গড়ে আড়াই শ থেকে তিন শ যাত্রী এই পথে যাতায়াত করলেও এখন প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন।

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা আর শিক্ষার জন্য প্রায় ১৮ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতেন। এতে সরকারেরও ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় হতো। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিভিন্ন শর্ত জারি করে। এ কারণে যাত্রী যাতায়াত প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে না পেরে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন যাত্রীরা।

তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলতায় আবারও এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। আগে করোনার কারণে ভারত থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের ছাড়পত্র লাগত। এতে ভোগান্তির যেমন শেষ ছিল না তেমনি বাড়তি অর্থও গুনতে হতো। এখন কেবল করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেই ভারতে যাওয়ার সুযোগ মিলছে যাত্রীদের।

ভারতফেরত পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকার আমেনা বেগম বলেন, ‘আগে ভোগান্তির শেষ ছিল না। এখন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন থাকতে হয় না। ছাড়পত্রও লাগছে না। কেবল করোনা নেগেটিভ সনদ হলে ভারত যাওয়া যাচ্ছে।’

যাত্রী আমিনুল বলেন, ‘ভারতে যাওয়ার সময় একবার ফেরার সময় আরেকবার মোট দুই বার করোনা পরীক্ষা করাতে ৩ হাজার টাকা লাগে। টিকার ডাবল ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরা করোনা পরীক্ষা ছাড়া যাতায়াতের সুযোগ পেলে অনেকে উপকৃত হবেন।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। যারা ভারতে যাচ্ছেন বা ফিরছেন অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য গেছেন। তাঁদের দ্রুত যাতায়াতের জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া আছে। এখানে সব কর্মকর্তা এ বিষয়ে আন্তরিক হয়ে কাজ করছেন।’

তিনি বলেন, বর্তমানে চিকিৎসা, ব্যবসা ও শিক্ষা ভিসায় যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। ভারতে যাওয়ার সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে পরীক্ষা করানো করোনা নেগেটিভ সনদ লাগছে। ভারত থেকেও একইভাবে আনতে হবে করোনা নেগেটিভ সনদ। তবে ভ্রমণ ভিসায় স্থলপথে যাত্রী যাতায়াত এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।’

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, ‘করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেই যাওয়া যাচ্ছে ভারতে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করছেন। ছয় মাস আগে যাত্রীর পরিমাণ ছিল দিনে ৪০ থেকে ৫০ জন। এখন তা বেড়েছে দিনে দেড় হাজারে দাঁড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত