সম্পাদকীয়
এ কথা এখন সবাই জানেন যে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক পুঁথিপত্র প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’। এই সংকলনে ‘মৌন নয়’ নামে যে গল্পটি বের হয়েছিল, সেটিই ছিল একুশে ফেব্রুয়ারির হত্যাকাণ্ড ও একুশের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে লেখা প্রথম গল্প। গল্পটি লিখেছিলেন শওকত ওসমান।
গল্পটিকে একটি রূপক উপাখ্যান বলা যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গল্পটি ঢাকার নয়, চট্টগ্রামের। শওকত ওসমান তখন চট্টগ্রামেই থাকতেন। এই গল্পে ফুটে ওঠে কিছু বাস্তব সত্য। গুলি চলেছে ঢাকায়, তা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অনুভূতি কী, সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল গল্পটিতে।
চট্টগ্রামে একটি চলন্ত বাসের আরোহীদের কথাবার্তায় ফুটে উঠেছিল ভাষা আন্দোলনের আবহ। কয়েকজন বাস আরোহীর আচরণ থেকেই স্পষ্ট হয়েছে ঢাকায় গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া। এমনকি গল্পের প্রথম দিকে যখন বলা হচ্ছে, ‘বাসের কন্ডাক্টর ফ্রেমের শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্যাসেঞ্জার ডাকা আজ তার কর্তব্যের মধ্যে গণ্য নয়: হাটহাজারী, বায়েজিত বোস্তামী, নতুনপাড়া, তার মুখ থেকে খইয়ের মতো ফুটে বেরোয় অন্যান্য দিন। আজ কন্ডাক্টরের ছুটি অথবা কোন প্যাসেঞ্জার প্রয়োজন নেই।’
দশ-বারোজন প্যাসেঞ্জারের মধ্যে সে বাসে বৃদ্ধ ছিল, চাষি ছিল, তরুণ ছাত্র ছিল, ছিল কেরানি। চলন্ত বাসে মানুষের স্তব্ধতা অনেক কিছুই বলে।
শওকত ওসমান এই নিস্তব্ধতার ছবিটি এঁকেছেন বড় ভালোবেসে, বড় কষ্ট বুকে নিয়ে। গল্পের শেষে যখন বৃদ্ধ ভদ্রলোক বলেন, ‘কী দোষ করেছিল আমার ছেলে? ওরা কেন তাকে গুলি করে মারল?’ এই প্রশ্ন ছড়িয়ে যায় পুরো বাসে। ‘সকলের গলার রগ কেঁপে কেঁপে উঠছে দমকে দমকে।’—এ বাক্যটিই বুঝিয়ে দেয়, ভাষা আন্দোলনের সাহিত্যিক প্রকাশের ধরনটি।
পরিপূরক আরেকটি তথ্য হলো, একুশের প্রথম গল্পের মতো একুশের প্রথম কবিতাটিও রচিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই।
সূত্র: এম আর মাহবুব, একুশের যত প্রথম, পৃষ্ঠা-১৩৪
এ কথা এখন সবাই জানেন যে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক পুঁথিপত্র প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’। এই সংকলনে ‘মৌন নয়’ নামে যে গল্পটি বের হয়েছিল, সেটিই ছিল একুশে ফেব্রুয়ারির হত্যাকাণ্ড ও একুশের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে লেখা প্রথম গল্প। গল্পটি লিখেছিলেন শওকত ওসমান।
গল্পটিকে একটি রূপক উপাখ্যান বলা যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গল্পটি ঢাকার নয়, চট্টগ্রামের। শওকত ওসমান তখন চট্টগ্রামেই থাকতেন। এই গল্পে ফুটে ওঠে কিছু বাস্তব সত্য। গুলি চলেছে ঢাকায়, তা নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অনুভূতি কী, সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল গল্পটিতে।
চট্টগ্রামে একটি চলন্ত বাসের আরোহীদের কথাবার্তায় ফুটে উঠেছিল ভাষা আন্দোলনের আবহ। কয়েকজন বাস আরোহীর আচরণ থেকেই স্পষ্ট হয়েছে ঢাকায় গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া। এমনকি গল্পের প্রথম দিকে যখন বলা হচ্ছে, ‘বাসের কন্ডাক্টর ফ্রেমের শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্যাসেঞ্জার ডাকা আজ তার কর্তব্যের মধ্যে গণ্য নয়: হাটহাজারী, বায়েজিত বোস্তামী, নতুনপাড়া, তার মুখ থেকে খইয়ের মতো ফুটে বেরোয় অন্যান্য দিন। আজ কন্ডাক্টরের ছুটি অথবা কোন প্যাসেঞ্জার প্রয়োজন নেই।’
দশ-বারোজন প্যাসেঞ্জারের মধ্যে সে বাসে বৃদ্ধ ছিল, চাষি ছিল, তরুণ ছাত্র ছিল, ছিল কেরানি। চলন্ত বাসে মানুষের স্তব্ধতা অনেক কিছুই বলে।
শওকত ওসমান এই নিস্তব্ধতার ছবিটি এঁকেছেন বড় ভালোবেসে, বড় কষ্ট বুকে নিয়ে। গল্পের শেষে যখন বৃদ্ধ ভদ্রলোক বলেন, ‘কী দোষ করেছিল আমার ছেলে? ওরা কেন তাকে গুলি করে মারল?’ এই প্রশ্ন ছড়িয়ে যায় পুরো বাসে। ‘সকলের গলার রগ কেঁপে কেঁপে উঠছে দমকে দমকে।’—এ বাক্যটিই বুঝিয়ে দেয়, ভাষা আন্দোলনের সাহিত্যিক প্রকাশের ধরনটি।
পরিপূরক আরেকটি তথ্য হলো, একুশের প্রথম গল্পের মতো একুশের প্রথম কবিতাটিও রচিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই।
সূত্র: এম আর মাহবুব, একুশের যত প্রথম, পৃষ্ঠা-১৩৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫