সম্পাদকীয়
ঢাকা শহরের বয়স ৪০০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এই শহর পরিকল্পিতভাবে গড়ে না ওঠার কারণে দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক নগর শুধু পরিকল্পনাহীনতার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ঢাকার সবকিছু নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। তাহলে হয়তো এই শহর রক্ষা হতে পারে।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার রাজউক আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আরবান আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
যদিও সেমিনারে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শহরের ভূমিকম্প বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা। ঢাকার প্রধান সমস্যা শুধু কি ভূমিকম্প? ঢাকা শহরের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, এর পরতে পরতে শুধু সমস্যা আর অপরিকল্পনার ছাপ। আর এই সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে বায়ু, শব্দ ও পরিবেশদূষণ, যানজট, অতিরিক্ত লোকের সমাগম, ভূমিকম্পের ঝুঁকি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেপরোয়া যানবাহন ইত্যাদি।
পাশাপাশি এই শহরে আবর্জনা-ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রায় সব খালই দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বিনোদনের পর্যাপ্ত আয়োজন নেই। কয়েকটি নির্দিষ্ট পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র ছাড়া তেমন বিশুদ্ধ নির্মল পরিবেশের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিশুদের মানসিক বিকাশে যে পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা থাকা দরকার, তার ছিটেফোঁটাও নেই। নেই কোনো খেলার মাঠ। গাছপালার অভাবও বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর ঢাকার আয়তন বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে এই বৃদ্ধি সর্বোচ্চ। গত দুই যুগে এখানকার জনসংখ্যা পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের ওপরে এখানে বসবাস করে। কিন্তু সেই অর্থে কোনো আয়োজন নেই।
ঢাকার প্রধান সমস্যা হলো অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ঢাকা শহরের চারদিকে গ্রাম দখল করে নতুন নতুন উঁচু ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, কিন্তু বসতির জায়গায় কোনো খেলার মাঠ নেই। এসব দেখার দায়িত্ব প্রধানত রাজউকের। কিন্তু তারা কোনো তদারক করে না বলে আবাসন কোম্পানি ও ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব নতুন জায়গায় নগরায়ণের কোনো আধুনিক নীতিই মানা হয় না। ফলে এসব শুধু ইট-পাথরের বস্তি ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।
ঢাকাকে রক্ষা করার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শের অভাব নেই। শুধু নেই নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সেই ভালো পরামর্শগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। এ শহরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ নানা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ওপর বর্তায়। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না।
আমরা ঢাকা শহরে সুস্থ পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে বাস করতে চাই। সে কারণে ঢাকার বাসযোগ্যতা যেন বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা শহরের বয়স ৪০০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এই শহর পরিকল্পিতভাবে গড়ে না ওঠার কারণে দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক নগর শুধু পরিকল্পনাহীনতার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ঢাকার সবকিছু নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। তাহলে হয়তো এই শহর রক্ষা হতে পারে।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার রাজউক আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আরবান আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
যদিও সেমিনারে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শহরের ভূমিকম্প বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা। ঢাকার প্রধান সমস্যা শুধু কি ভূমিকম্প? ঢাকা শহরের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, এর পরতে পরতে শুধু সমস্যা আর অপরিকল্পনার ছাপ। আর এই সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে বায়ু, শব্দ ও পরিবেশদূষণ, যানজট, অতিরিক্ত লোকের সমাগম, ভূমিকম্পের ঝুঁকি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেপরোয়া যানবাহন ইত্যাদি।
পাশাপাশি এই শহরে আবর্জনা-ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রায় সব খালই দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বিনোদনের পর্যাপ্ত আয়োজন নেই। কয়েকটি নির্দিষ্ট পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র ছাড়া তেমন বিশুদ্ধ নির্মল পরিবেশের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিশুদের মানসিক বিকাশে যে পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা থাকা দরকার, তার ছিটেফোঁটাও নেই। নেই কোনো খেলার মাঠ। গাছপালার অভাবও বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর ঢাকার আয়তন বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে এই বৃদ্ধি সর্বোচ্চ। গত দুই যুগে এখানকার জনসংখ্যা পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের ওপরে এখানে বসবাস করে। কিন্তু সেই অর্থে কোনো আয়োজন নেই।
ঢাকার প্রধান সমস্যা হলো অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ঢাকা শহরের চারদিকে গ্রাম দখল করে নতুন নতুন উঁচু ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, কিন্তু বসতির জায়গায় কোনো খেলার মাঠ নেই। এসব দেখার দায়িত্ব প্রধানত রাজউকের। কিন্তু তারা কোনো তদারক করে না বলে আবাসন কোম্পানি ও ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব নতুন জায়গায় নগরায়ণের কোনো আধুনিক নীতিই মানা হয় না। ফলে এসব শুধু ইট-পাথরের বস্তি ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।
ঢাকাকে রক্ষা করার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শের অভাব নেই। শুধু নেই নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সেই ভালো পরামর্শগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। এ শহরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ নানা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ওপর বর্তায়। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না।
আমরা ঢাকা শহরে সুস্থ পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে বাস করতে চাই। সে কারণে ঢাকার বাসযোগ্যতা যেন বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫