রাজন চন্দ ও বিপ্লব চন্দ্র রায় (তাহিরপুর ও শাল্লা)
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওর ও তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে বাঁধ ধসে পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। গত রবি ও সোমবার এ দুই হাওরে বাঁধ ধসে ফসল তলিয়ে যায়। এদিকে বাঘার হাওরের বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তালিকার বাইরে থাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এমন অবস্থায় বাঁধ ধসে যাওয়ায় পাউবোকে দায়ী করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
শাল্লা: গতকাল সোমবার বিকেলে নদীর পানি উপচে বাঘার হাওরে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে এক হাজার একর ফসলি জমি। পাউবোর তালিকার বাইরে থাকায় এ বাঁধ দেওয়া হয়নি। একাধিকবার দাবি জানালেও পাউবো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফলে বাঁধ ধসে যাওয়ায় পাউবোকে দায়ী করছেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, বাঘার বাঁধ এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমি রয়েছে। শুরু থেকেই এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাঁধ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
তবে পাউবোর দাবি, এই হাওরের বাঁধটি পাউবোর আওতার বাইরে।
দামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এই হাওরে ১০ কেয়ার জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। চোখের সামনেই সবকিছু ভেসে যাচ্ছে।’
কৃষক আবু বক্কর বলেন, ‘হাওরেই আমার ৩০ কেয়ার জমি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প দেওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এই ফসল ডুবির দায়ভার পাউবোকেই নিতে হবে।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জয়ন্ত সরকার বলে, ‘ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর বাবার কান্না দেখে নিজেই কাঁচি হাতে ধান কাটতে আসছি। কিন্তু ধান এখনো পাকেনি। এরপরও তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে কিছু ধান ঘরে নিতে পারলে দু-এক দিনের খাবার হবে।’
শাল্লা পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের হাওর রক্ষা বাঁধ এখনো ভাঙেনি। বাঘার হাওর পাউবোর তালিকার বাইরে। পাউবোর আওতায় যে বাঁধগুলো রয়েছে, সেগুলো সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বাঁধ শাল্লায় নেই।’
তাহিরপুর: তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের বৃহৎ মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির বোরো ধান। ফসল রক্ষা বাঁধ উপপ্রকল্পের ৪৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
গতকাল এ বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাঁধ মেরামতের করছেন। বাঁধে মাটির বস্তা, বাঁশের খুঁটি ও ধসে যাওয়া অংশে মাটি ভরাট চলছে।
মাটিয়ান হাওরের কৃষক নাঈম হাসান বলেন, ‘৪৪ নম্বর প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ফিজিল মিয়া ও সদস্যসচিব কয়েছ মিয়া বাঁধ নির্মাণকাজে গাফিলতি করেছেন। অনিয়মের কারণেই আমরা এখন বোরো ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক বড়দল গ্রামের সাঞ্জব উস্তার বলেন, ‘আনন্দনগর গ্রামের বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পিআইসির দায়িত্বে থাকা সদস্যদের অনিয়মের কারণে আমরা এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘আনন্দনগর গ্রামের পাশে বাঁধ দিয়ে সরু পথে পানি প্রবেশ করায় রাতেই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বস্তা দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘বাঁধ ধসের খবরে রাতেই পেয়েছি। বাঁধ রক্ষায় বস্তা, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।’
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওর ও তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে বাঁধ ধসে পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। গত রবি ও সোমবার এ দুই হাওরে বাঁধ ধসে ফসল তলিয়ে যায়। এদিকে বাঘার হাওরের বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তালিকার বাইরে থাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এমন অবস্থায় বাঁধ ধসে যাওয়ায় পাউবোকে দায়ী করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
শাল্লা: গতকাল সোমবার বিকেলে নদীর পানি উপচে বাঘার হাওরে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে এক হাজার একর ফসলি জমি। পাউবোর তালিকার বাইরে থাকায় এ বাঁধ দেওয়া হয়নি। একাধিকবার দাবি জানালেও পাউবো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফলে বাঁধ ধসে যাওয়ায় পাউবোকে দায়ী করছেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, বাঘার বাঁধ এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমি রয়েছে। শুরু থেকেই এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাঁধ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
তবে পাউবোর দাবি, এই হাওরের বাঁধটি পাউবোর আওতার বাইরে।
দামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এই হাওরে ১০ কেয়ার জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। চোখের সামনেই সবকিছু ভেসে যাচ্ছে।’
কৃষক আবু বক্কর বলেন, ‘হাওরেই আমার ৩০ কেয়ার জমি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প দেওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এই ফসল ডুবির দায়ভার পাউবোকেই নিতে হবে।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জয়ন্ত সরকার বলে, ‘ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর বাবার কান্না দেখে নিজেই কাঁচি হাতে ধান কাটতে আসছি। কিন্তু ধান এখনো পাকেনি। এরপরও তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে কিছু ধান ঘরে নিতে পারলে দু-এক দিনের খাবার হবে।’
শাল্লা পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের হাওর রক্ষা বাঁধ এখনো ভাঙেনি। বাঘার হাওর পাউবোর তালিকার বাইরে। পাউবোর আওতায় যে বাঁধগুলো রয়েছে, সেগুলো সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বাঁধ শাল্লায় নেই।’
তাহিরপুর: তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের বৃহৎ মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির বোরো ধান। ফসল রক্ষা বাঁধ উপপ্রকল্পের ৪৪ নম্বর প্রকল্পের বাঁধটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
গতকাল এ বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাঁধ মেরামতের করছেন। বাঁধে মাটির বস্তা, বাঁশের খুঁটি ও ধসে যাওয়া অংশে মাটি ভরাট চলছে।
মাটিয়ান হাওরের কৃষক নাঈম হাসান বলেন, ‘৪৪ নম্বর প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ফিজিল মিয়া ও সদস্যসচিব কয়েছ মিয়া বাঁধ নির্মাণকাজে গাফিলতি করেছেন। অনিয়মের কারণেই আমরা এখন বোরো ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক বড়দল গ্রামের সাঞ্জব উস্তার বলেন, ‘আনন্দনগর গ্রামের বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পিআইসির দায়িত্বে থাকা সদস্যদের অনিয়মের কারণে আমরা এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘আনন্দনগর গ্রামের পাশে বাঁধ দিয়ে সরু পথে পানি প্রবেশ করায় রাতেই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বস্তা দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘বাঁধ ধসের খবরে রাতেই পেয়েছি। বাঁধ রক্ষায় বস্তা, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫