Ajker Patrika

সংস্কারের দুই মাসেই গর্ত

মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৩৩
সংস্কারের দুই মাসেই গর্ত

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই করা হয় সংস্কার। আবার সেই সংস্কারের দুই মাস না যেতেই ফের অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক ফের চলাচলের অনুপযোগি হতে চলেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম নৌ-বন্দর মোংলা ও নওয়াপাড়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ঘটেছে এ সড়কটির মাধ্যমে। নওয়াপাড়া শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এ সড়কটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই যেন অবহেলিত যুগ যুগ ধরে। এ সড়কটি দিয়েই প্রতিদিন লাখ-লাখ মানুষ মানুষ যাতায়াত করে। দেশের ৭০ শতাংশ সার বিভিন্ন অঞ্চলে নওয়াপাড়া হতে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার কয়লা নওয়াপাড়া বন্দর হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়।

এ ছাড়া, খৈল, ভুট্টা, ভুসি, মাছের খাবার, চাল-ডালসহ যাবতীয় পণ্য এ সড়ক দিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সড়কটির উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেন। সে মোতাবেক ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করে ‘তমা কনস্ট্রাকশন’ ও ‘মাহাবুব অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালের জুন মাসে মহাসড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে কাজ শেষ হয় ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই তমা কন্সট্রাকশনের বানানো অংশে (পদ্মবীলা থেকে অভয়নগরের শেষ সীমানা) পর্যন্ত সড়কটি ফুলে ফেঁপে বেহাল হয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীসহ সড়ক বিভাগে শুরু হয় তোলপাড়। সরব হয়ে ওঠে গণমাধ্যম। অতিরিক্ত তাপমাত্রার সময় সড়কে বিটুমিনের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এমনটা জানায় সড়ক বিভাগ।

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিদর্শন শেষে বর্ষা মৌসুমের আগে সড়ক সংস্কার করে দ্রুত কাজ শেষ করার ঘোষণা দেন। এরপর গত দেড় মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে চারদিকে তোলপাড় শুরু হলে সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ও তমা কনস্ট্রাকশন সড়কের ফুলে ওঠা অংশগুলো তুলে ফেলে সড়ক সমান করার কাজে লাগে। কোথাও কোথাও নামমাত্র বিটুমিন ছিঁটিয়ে দেয়। ফুলে ওঠা অংশ তুলে ফেলায় সেসব অংশে এখন ধীরে ধীরে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক জুড়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া পিচ উঠে গেছে। ব্যস্তময় এই মহাসড়কে চলাচল করা আন্তজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

অতি দ্রুত মহাসড়কটি পুনরায় মেরামত করা না হলে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে তমা কন্সট্রাকশন পদ্মবিলা থেকে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হবে।’

এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন এবং যাত্রী সাধারণ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে সমস্যা রয়েই গেল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত