Ajker Patrika

এক চা-পাতায় ২১০ ধরনের চা আশিকের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, ১১: ২০
এক চা-পাতায় ২১০ ধরনের চা আশিকের

সিলেটকে চায়ের দেশ বলা হলেও, চায়ে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশিকুর রহমান আশিক। এক চা-পাতা দিয়ে ২১০ ধরনের চা বানাতে পারেন এই তরুণ। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসেন আশিকের তৈরি চা খেতে। আর এই চা বিক্রি করেই মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করছেন আশিক।

সরাইলের শাহবাজপুর গ্রামের হাবলিপাড়া এলাকার মৃত আলী হায়দার মিয়ার ছেলে আশিক ৭ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। ২০০৩ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন তিনি। সে জন্য পড়াশোনায় বেশি দূর এগোতে পারেননি। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় পড়াশোনাকে ইতি জানাতে হয়েছে তাঁকে।

আশিক আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০০৬ সালে বাড়ির পাশের শাহবাজপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেন তিনি। আগে দোকানে শুধু সাধারণ রং চা ও দুধ চা বিক্রি হতো। তবে বিভিন্ন দেশের হরেক স্বাদের চায়ের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল তাঁর। সেই আগ্রহ থেকে এখন তিনি ২১০ ধরনের চা তৈরি করছেন। গত এক বছর ধরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও ইরানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বিভিন্ন স্বাদের চা তৈরি করছেন বলে জানান আশিক। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসেন আশিকের তৈরি চা খেতে।

ধরন ভেদে এক কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ কাপ চা বিক্রি হয় আশিকের দোকানে। সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ৪-৫ হাজার টাকা আয় হয় আশিকের। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার থাকে বাড়তি চাপ।

দুই শতাধিক চায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আশিক বলেন, ‘রং চা ও দুধ চা তো সব চায়ের দোকানেই পাওয়া যায়। মানুষকে আমার দোকানের চা খাওয়াতে হলে ব্যতিক্রম কিছু করতে হবে। সেই চিন্তা থেকেই ফেসবুক ও ইউটিউবে আমি চা সংক্রান্ত ভিডিওগুলো দেখতে থাকি। এভাবে দেখে শেখার পর নিজে বানানোর চেষ্টা করতাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত