Ajker Patrika

বৃত্তির টাকায় সবজির বাগান

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০২
বৃত্তির টাকায় সবজির বাগান

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে ঘরবন্দী হয়ে পড়ে দেশের প্রায় সব শিক্ষার্থী। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই সময় পার করেছে অনলাইনে মোবাইল গেমসে। আবার কেউ উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই না করে অলসতায় কাটিয়েছে এই বিশাল ছুটি।

তবে কালীগঞ্জের শিক্ষার্থী মো. আকাইদ শেখ বন্ধের সময়টাকে কাজে লাগিয়েছে ভিন্নভাবে। নিজের বৃত্তির জমানো টাকায় বাড়ির পাশে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকা ৩০ শতাংশ জমিতে তিন মাস ধরে পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন জাতের শাকসবজির বাগান। তার মধ্যে রয়েছে লাউ, করলা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, লালশাকসহ অন্যান্য সবজি।

মো. আকাইদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের মো. হাতেম আলীর ছেলে। সে স্থানীয় জৈনা বাজার এলাকার এইচ এ কে একাডেমির দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। করোনাকালীন সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়ে এই শিক্ষার্থীর পরিবার।

তাই অলস না কাটিয়ে সে বন্ধের পুরো সময়টা কাজে লাগিয়েছে। সে তার সবজির বাগানে কোন গাছের কী প্রয়োজন, কোন গাছে কী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে, কোন গাছে সার দিতে হবে, এসব করে সময় পার করেছেন।

শিক্ষার্থী আকাইদ বলে, ‘মহামারি করোনায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় একঘেয়েমি চলে আসছিল। আমি তাই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে, আমার পরিবারের, বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের সহযোগিতায় একটি সবজির বাগান করার পরিকল্পনা করি। আমার বৃত্তির জমানো টাকা কাজে লাগিয়ে মায়ের সহযোগিতায় সবজির বাগান করা শুরু করি। বাগানে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়ার পর আমার অক্লান্ত পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমি সবজির বাগান করে খুবই আনন্দিত।’

আকাইদ আরও জানায়, পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীর চাহিদাও মেটাচ্ছে তার বাগানের সবজি। ঊর্ধ্বমুখী দামের এই বাজারে তার পরিবার ও প্রতিবেশীকে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে না। তার আবাদ করা ফসল শুধু পারিবারিক এবং প্রতিবেশীদের চাহিদাই মেটাচ্ছে না, অতিরিক্ত সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থ সঞ্চয় হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত