বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে নারকেল, পেঁপে, সুপারিসহ বিভিন্ন গাছের পাতায় হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের আক্রমণে একে একে মারা যাচ্ছে অনেক গাছ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষেরা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণে গাছের পাতায় এক ধরনের কালো আবরণ পড়ে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে আক্রান্ত গাছ। বাজারে থাকা বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগেও আক্রমণ কমছে না।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর, পদ্মনগরসহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা গেছে, নারিকেল, সুপারি, পেঁপে, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন গাছের পাতার ওপর এক ধরনের কালো আবরণ পড়েছে। শূতিমূল নামের এক ধরনের ফাঙ্গাসের প্রভাবে পাতা এভাবে কালো হয়ে যাচ্ছে। পাতার নিচে রয়েছে তুলার মতো সাদা রঙের পোকা। এই পোকাগুলোই হচ্ছে হোয়াইটফ্লাই।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই পোকাগুলো প্রথমে পাতায় বসে। পরে ওই পাতার ওপর মাকড়সার জালের মতো আবরণ তৈরি করে। প্রতিদিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এগুলো হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে আক্রান্ত গাছের সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়। গাছের ফল দানের ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আক্রান্ত গাছ মারাও যেতে পারে।
এ দিকে হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূল পোকার হাত থেকে চাষিদের বাঁচানোর উপায় খুঁজতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের একটি গবেষণা দল সরেজমিনে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন ও পর্যালোচনা শেষে তাঁরা কৃষি বিভাগকে জানিয়েছেন হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূল খুবই ভয়ংকর পোকা। এই পোকা শুধু নারকেল, পেঁপে নয়, অন্তত ৫০ প্রকার গাছে বিস্তার লাভ করতে পারে। একটি গাছকে মেরে ফেলতেও সক্ষম এই পোকা। তবে নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে এসব পোকা নির্মূল করাও সম্ভব।
খোকন শেখ নামের সদর উপজেলার এক কৃষক বলেন, ‘আমার চিংড়ি ঘেরের পাড়ের পেঁপে, পেয়ারা ও আম গাছের পাতার উপরের অংশ দিন দিন কালো হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে পাতা নষ্ট হয়ে গেলে গাছগুলো বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম। এমন চলতে থাকলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, আগে মাঝে মাঝে কিছু গাছের পাতার ওপরে কালো প্রলেপ পড়ত। কিন্তু এ বছর এই কালো প্রলেপ পড়ার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট সাদা পোকের আগ্রাসন। এগুলো না ঠেকাতে পারলে এলাকার অনেক গাছ মারা যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘এটা শুধু বাগেরহাটে নয়; দেশের বিভিন্ন জেলায় হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণের খবর পেয়েছি। এগুলোর আক্রমণ এত ভয়ানক যে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আক্রান্ত গাছ মারাও যেতে পারে।’
তবে এ সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণ থেকে আক্রান্ত গাছকে বাঁচানো সম্ভব। এ জন্য ইমিডা ক্লোরোপিড গ্রুপের বিভিন্ন কীটনাশকের সঙ্গে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে গাছে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে। প্রথম মাসে চার বার এবং পরবর্তী তিন মাসে একবার করে স্প্রে করতে পারলে এই সমস্যার প্রভাব কেটে যাবে। তা ছাড়া বাজারে এসব সমস্যার জন্য কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিভিন্ন কোম্পানির কিছু ওষুধও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাগেরহাটে নারকেল, পেঁপে, সুপারিসহ বিভিন্ন গাছের পাতায় হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের আক্রমণে একে একে মারা যাচ্ছে অনেক গাছ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষেরা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণে গাছের পাতায় এক ধরনের কালো আবরণ পড়ে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে আক্রান্ত গাছ। বাজারে থাকা বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগেও আক্রমণ কমছে না।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর, পদ্মনগরসহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা গেছে, নারিকেল, সুপারি, পেঁপে, পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন গাছের পাতার ওপর এক ধরনের কালো আবরণ পড়েছে। শূতিমূল নামের এক ধরনের ফাঙ্গাসের প্রভাবে পাতা এভাবে কালো হয়ে যাচ্ছে। পাতার নিচে রয়েছে তুলার মতো সাদা রঙের পোকা। এই পোকাগুলোই হচ্ছে হোয়াইটফ্লাই।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই পোকাগুলো প্রথমে পাতায় বসে। পরে ওই পাতার ওপর মাকড়সার জালের মতো আবরণ তৈরি করে। প্রতিদিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এগুলো হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে আক্রান্ত গাছের সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়। গাছের ফল দানের ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আক্রান্ত গাছ মারাও যেতে পারে।
এ দিকে হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূল পোকার হাত থেকে চাষিদের বাঁচানোর উপায় খুঁজতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের একটি গবেষণা দল সরেজমিনে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন ও পর্যালোচনা শেষে তাঁরা কৃষি বিভাগকে জানিয়েছেন হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূল খুবই ভয়ংকর পোকা। এই পোকা শুধু নারকেল, পেঁপে নয়, অন্তত ৫০ প্রকার গাছে বিস্তার লাভ করতে পারে। একটি গাছকে মেরে ফেলতেও সক্ষম এই পোকা। তবে নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে এসব পোকা নির্মূল করাও সম্ভব।
খোকন শেখ নামের সদর উপজেলার এক কৃষক বলেন, ‘আমার চিংড়ি ঘেরের পাড়ের পেঁপে, পেয়ারা ও আম গাছের পাতার উপরের অংশ দিন দিন কালো হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে পাতা নষ্ট হয়ে গেলে গাছগুলো বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম। এমন চলতে থাকলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, আগে মাঝে মাঝে কিছু গাছের পাতার ওপরে কালো প্রলেপ পড়ত। কিন্তু এ বছর এই কালো প্রলেপ পড়ার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট সাদা পোকের আগ্রাসন। এগুলো না ঠেকাতে পারলে এলাকার অনেক গাছ মারা যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘এটা শুধু বাগেরহাটে নয়; দেশের বিভিন্ন জেলায় হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণের খবর পেয়েছি। এগুলোর আক্রমণ এত ভয়ানক যে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আক্রান্ত গাছ মারাও যেতে পারে।’
তবে এ সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘হোয়াইটফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণ থেকে আক্রান্ত গাছকে বাঁচানো সম্ভব। এ জন্য ইমিডা ক্লোরোপিড গ্রুপের বিভিন্ন কীটনাশকের সঙ্গে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে গাছে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে। প্রথম মাসে চার বার এবং পরবর্তী তিন মাসে একবার করে স্প্রে করতে পারলে এই সমস্যার প্রভাব কেটে যাবে। তা ছাড়া বাজারে এসব সমস্যার জন্য কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিভিন্ন কোম্পানির কিছু ওষুধও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫