নাফিসা চৌধুরী
মনে করুন আপনাকে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে বলা হলো দেশের পরিস্থিতি নিয়ে। আপনি কিন্তু সত্য বলতে চাইবেন। কিন্তু আপনি বলছেন, দেশের উন্নয়নের অঙ্গীকার যাঁরা করেছেন, তাঁরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে আর দুর্নীতিমুক্তভাবে সব কাজ করে যাচ্ছেন। আর কিছু প্রশংসার স্তুতি গেয়ে নেমে গেলেন মঞ্চ থেকে।
আপনার হয়তো বলতে ইচ্ছে করে, সবকিছু আরও সুষ্ঠু ও সুন্দর হতে পারত। কিন্তু ঠিকভাবে হচ্ছে না। অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে বসবাস করতে করতে ক্লান্ত লাগছে আমার, আমাদের।
আপনি পারবেন না, কারণ সবখানে নাকি সত্য বলতে নেই। সত্য সবার হজম হয় না কিনা!
এবার পরিবারে ফিরে আসা যাক। ছোট্ট পরিসর, সেখানেও আপনি কোনো একজনকে বলতে পারবেন না যে ‘আমার সম্পত্তি যে আমাকে দিচ্ছ না, এটা তো ঠিক না। আমার অধিকারের অংশটুকু তো আমার প্রাপ্য।’ আপনি হয়তো তার সঙ্গে হেসে কুশলবিনিময় করে ফিরে আসবেন বাড়িতে। কারণ, তাকে বললে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। নষ্ট হতে পারে আত্মীয়তার সম্পর্ক।
সত্য বলতে সাহস লাগে আর সেই সাহস অনেকেরই থাকে। তবু নিজেকে আটকাতে বাধ্য হতে হয়। আপনার সত্যের মাশুল যদি আপনার আপন কারও জীবনের বিনিময় হয়ে যায়, সেই ভয়ে।
এবার কাজের পরিসরে চলুন। সেখানে আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অন্যায় করছেন, ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন আপনাকে, আপনার কাজে খামোখা ভুল ধরছেন, আপনাকে অপমান করছেন। আপনার মন চাইছে তাঁকে বলতে, ‘কাজটা আমি করেছি আর সেখানে কোনো ভুল নেই। তবে আমাকে কেন অপমানিত হতে হচ্ছে? আপনার মতো কোটি টাকা আত্মসাৎ করিনি, তবে আমাকে কেন এসবের মধ্যে অন্যায়ভাবে জড়াচ্ছেন? আমি সৎভাবে জীবনযাপন করছি আর চেষ্টাও করে যাচ্ছি।’
কিন্তু আপনি সামনাসামনি হয়তো বলছেন, ‘আমি এর পর থেকে খেয়াল রাখব যেন কোনো ভুল না হয়।’ নির্বিঘ্নে দোষ স্বীকার করে চলে এলেন নিজ ডেস্কে। যেখানে আপনার কোনো ভুলই নেই, সেখানে দায় স্বীকার করে ফেরা লাগছে।
নিজের সঙ্গে নিজের একটা ভীষণ যুদ্ধ চলতে থাকে তাদের, যারা চায় সত্য বলতে কিন্তু পারে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নিজে দোষের ভাগীদার হওয়ার ভয়ে আমরা অনেকেই আজকাল ফেসবুকের আশ্রয় নিই নিজের মনের কথা বলার জন্য। সেখানেও অনেকেই থাকে, যারা কৌতুক বা হাস্যরস বোঝে না অথবা মনে করে বসে তাদেরই কথা শোনানো হচ্ছে।
এমন সব পরিস্থিতি আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো না কোনো মুহূর্তের সঙ্গে মিলে যাবে। তবে এই গ্যাঁড়াকল থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলো কী হতে পারে? প্রশ্ন থেকে যায়।
লেখক: সংস্কৃতিকর্মী
মনে করুন আপনাকে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে বলা হলো দেশের পরিস্থিতি নিয়ে। আপনি কিন্তু সত্য বলতে চাইবেন। কিন্তু আপনি বলছেন, দেশের উন্নয়নের অঙ্গীকার যাঁরা করেছেন, তাঁরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে আর দুর্নীতিমুক্তভাবে সব কাজ করে যাচ্ছেন। আর কিছু প্রশংসার স্তুতি গেয়ে নেমে গেলেন মঞ্চ থেকে।
আপনার হয়তো বলতে ইচ্ছে করে, সবকিছু আরও সুষ্ঠু ও সুন্দর হতে পারত। কিন্তু ঠিকভাবে হচ্ছে না। অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে বসবাস করতে করতে ক্লান্ত লাগছে আমার, আমাদের।
আপনি পারবেন না, কারণ সবখানে নাকি সত্য বলতে নেই। সত্য সবার হজম হয় না কিনা!
এবার পরিবারে ফিরে আসা যাক। ছোট্ট পরিসর, সেখানেও আপনি কোনো একজনকে বলতে পারবেন না যে ‘আমার সম্পত্তি যে আমাকে দিচ্ছ না, এটা তো ঠিক না। আমার অধিকারের অংশটুকু তো আমার প্রাপ্য।’ আপনি হয়তো তার সঙ্গে হেসে কুশলবিনিময় করে ফিরে আসবেন বাড়িতে। কারণ, তাকে বললে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। নষ্ট হতে পারে আত্মীয়তার সম্পর্ক।
সত্য বলতে সাহস লাগে আর সেই সাহস অনেকেরই থাকে। তবু নিজেকে আটকাতে বাধ্য হতে হয়। আপনার সত্যের মাশুল যদি আপনার আপন কারও জীবনের বিনিময় হয়ে যায়, সেই ভয়ে।
এবার কাজের পরিসরে চলুন। সেখানে আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অন্যায় করছেন, ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন আপনাকে, আপনার কাজে খামোখা ভুল ধরছেন, আপনাকে অপমান করছেন। আপনার মন চাইছে তাঁকে বলতে, ‘কাজটা আমি করেছি আর সেখানে কোনো ভুল নেই। তবে আমাকে কেন অপমানিত হতে হচ্ছে? আপনার মতো কোটি টাকা আত্মসাৎ করিনি, তবে আমাকে কেন এসবের মধ্যে অন্যায়ভাবে জড়াচ্ছেন? আমি সৎভাবে জীবনযাপন করছি আর চেষ্টাও করে যাচ্ছি।’
কিন্তু আপনি সামনাসামনি হয়তো বলছেন, ‘আমি এর পর থেকে খেয়াল রাখব যেন কোনো ভুল না হয়।’ নির্বিঘ্নে দোষ স্বীকার করে চলে এলেন নিজ ডেস্কে। যেখানে আপনার কোনো ভুলই নেই, সেখানে দায় স্বীকার করে ফেরা লাগছে।
নিজের সঙ্গে নিজের একটা ভীষণ যুদ্ধ চলতে থাকে তাদের, যারা চায় সত্য বলতে কিন্তু পারে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নিজে দোষের ভাগীদার হওয়ার ভয়ে আমরা অনেকেই আজকাল ফেসবুকের আশ্রয় নিই নিজের মনের কথা বলার জন্য। সেখানেও অনেকেই থাকে, যারা কৌতুক বা হাস্যরস বোঝে না অথবা মনে করে বসে তাদেরই কথা শোনানো হচ্ছে।
এমন সব পরিস্থিতি আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো না কোনো মুহূর্তের সঙ্গে মিলে যাবে। তবে এই গ্যাঁড়াকল থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলো কী হতে পারে? প্রশ্ন থেকে যায়।
লেখক: সংস্কৃতিকর্মী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪