Ajker Patrika

টাঙ্গাইলে টিকাদান কার্যক্রম

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১১: ২৫
টাঙ্গাইলে টিকাদান কার্যক্রম

টাঙ্গাইলে এ পর্যন্ত ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৩ জন মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জেলার ৬৭ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে আর মাত্র ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হলে জেলার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা যাবে। এর মাধ্যমে সরকারের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকার আওতায় শুরুর দিকে টাঙ্গাইলে সাধারণ মানুষের টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম থাকলেও বর্তমানে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। এর ফলে টিকাকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। এতে হঠাৎ করেই এত বেশি মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। সিভিল সার্জন বলছেন, টিকা নেওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুতই লক্ষ্য অর্জিত হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় মোট জনসংখ্যা রয়েছে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫৯ জন। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৩ জনকে। সে হিসাবে ৬৭ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জনকে, যার হার ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ। অপর দিকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৬ হাজার ৭৮৩ জনকে।

জেলায় চার ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার ও কোভিশিল্ড। জেলায় এখনো প্রায় ২ লাখ সিনোভ্যাক ও ৫০ হাজার টিকা মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হচ্ছে। গত শনি, রবি ও সোমবার বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলে একযোগে ৩৬৬টি ইউনিয়ন এবং ৩টি পৌরসভার ২৪টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৩ জনকে গণটিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৬ তারিখেই জেলায় ১ দিনে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫২২ জন টিকা নিয়েছেন।

গণটিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষ জানান, অনেকেই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত এবং জন্মসনদ ও ভোটার আইডি কার্ডে সমস্যা থাকার কারণে টিকা দিতে পারেননি। গণটিকার বিশেষ ক্যাম্পেইনে তাঁরা টিকা নিতে পেরেছেন। এতে তাঁরা খুশি।

সার্বিক বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। জেলায় ১২ বছরের নিচে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮ লাখ এবং প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ বিদেশে রয়েছেন। এ হিসাবে আরও প্রায় এক লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হলে আমাদের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জিত হবে। সবাইকে টিকা দিলে করোনার সংক্রমণ কমে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’ যাঁরা এখনো টিকা নেননি, তাঁদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, বর্তমানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কাউকেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। শুধু যাঁরা শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাঁদের ফাইজার দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বিদেশগামী রয়েছেন, তাঁরা ফাইজার, কোভিশিল্ড ও সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত