সম্পাদকীয়
শিরোনামের শব্দগুলো পড়ে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি ইচ্ছেমতো শিম খেতে পারেন। শীতকাল এসেছে, সবজির দর নামতে শুরু করেছে। এখনো গরিব মানুষের নাগালের মধ্যে না এলেও আশা করা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সবজি কিনে খেতে পারবে মানুষ এবং অনেকেই বিশ্বাস করছেন, আলু নিয়ে যে কায়কারবার চলছে এখন, তা থেকে অন্যান্য শীতের সবজি মুক্ত হবে। এমন হবে না যে কৃষক সবজি বিক্রি করবেন জলের দরে আর মাঝপথের ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়ে আকাশের কাছে নিয়ে যাবেন।
যা-ই হোক, ‘মাস্তান’ আলুর কাছ থেকে আমাদের ফিরে আসতে হচ্ছে আপাতনিরীহ সবজি শিমের কাছে। শিমও ২০০ টাকার মাইলফলক ছুঁয়ে এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করেছে। সেই শিম অবশ্য উত্তপ্ত করে ফেলেছিল হবিগঞ্জের বাহুবলকে। শিমকে নিমিত্ত করে বাহুর বল প্রদর্শন করেছে বাহুবলের দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ। দর-কষাকষি থেকে মারামারি। আর সেই মারামারির ফলে আহতই হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
ঘটনাটি শুনলে আপনার হাসি পাবে। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই দেখবেন, এ তো হাসির ব্যাপার নয়। চান্দদিয়া গ্রামের একজনের কাছ থেকে একই উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের একজন শিম কিনছিলেন। দরদাম নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। আর তা থেকেই কথা-কাটাকাটি। কথা-কাটাকাটিতেও থেমে থাকেনি ঘটনা। শুরু হয় হাতাহাতি। হাতেই বা সীমাবদ্ধ থাকবে কেন এ রকম ঘটনা? তাই দুপক্ষের লোকজন হাজির হয় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এবং ‘পরমানন্দে’ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করতে থাকে। দুই ঘণ্টা ধরে এই মারামারির উৎসব চলে এবং উৎসবের আনন্দ হিসেবে যুক্ত হয় অর্ধশতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর।
ঘটনাটি নিয়ে বাহুবলের মানুষ কী ভাবছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। তারা কি মনে করছে, বহুবলের মানুষ বাহুবল দেখাবে না তো কি চুপ করে ঘরে বসে থাকবে, নাকি তারা মনে করছে, এ ধরনের একটি ঘটনার জন্ম দেওয়ায় লজ্জায় অন্যের সামনে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়ছে?
তারা যে কথাই ভাবুক না কেন, স্পষ্টভাবে যে কথাটি বলা দরকার তা হলো, বাহুবলের মানুষদের ধৈর্যে টান পড়েছে, তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। এবার আরেকটু বিশদে যদি ঘটনাটির দিকে তাকাই, তাহলে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা আমরা দেখতে পাব, যাতে অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে দারুণভাবে। মানুষ সত্যিই আজ বড় অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। একেবারে গুরুত্বহীন কোনো ব্যাপারেও গায়ে পড়ে ঝগড়া করছে। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, সেই ঝগড়াও ধাবিত হচ্ছে অস্ত্র হাতে মারামারিতে।
সমাজ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা হয়তো এ ঘটনার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবেন। তবে আমাদের মনে হয়, জীবনযাপনে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা, প্রতিযোগিতার মুখে অসহায় হওয়া, রাজনৈতিকভাবে নিগৃহীত হওয়াসহ বহুবিধ কারণ রয়েছে এই অসহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে। সামান্য শিম যদি অর্ধশতাধিক মানুষকে আহত করতে পারে, তাহলে পেঁয়াজ বা আলু নিয়ে ঝগড়া বাধলে কি দেশীয় অস্ত্রের জায়গায় একে ফরটিসেভেন আর আহতের জায়গায় নিহতদের খবর পড়তে হবে আমাদের? সে দিনও কি আসছে—শঙ্কা হয় ভাবতে।
শিরোনামের শব্দগুলো পড়ে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি ইচ্ছেমতো শিম খেতে পারেন। শীতকাল এসেছে, সবজির দর নামতে শুরু করেছে। এখনো গরিব মানুষের নাগালের মধ্যে না এলেও আশা করা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সবজি কিনে খেতে পারবে মানুষ এবং অনেকেই বিশ্বাস করছেন, আলু নিয়ে যে কায়কারবার চলছে এখন, তা থেকে অন্যান্য শীতের সবজি মুক্ত হবে। এমন হবে না যে কৃষক সবজি বিক্রি করবেন জলের দরে আর মাঝপথের ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়ে আকাশের কাছে নিয়ে যাবেন।
যা-ই হোক, ‘মাস্তান’ আলুর কাছ থেকে আমাদের ফিরে আসতে হচ্ছে আপাতনিরীহ সবজি শিমের কাছে। শিমও ২০০ টাকার মাইলফলক ছুঁয়ে এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করেছে। সেই শিম অবশ্য উত্তপ্ত করে ফেলেছিল হবিগঞ্জের বাহুবলকে। শিমকে নিমিত্ত করে বাহুর বল প্রদর্শন করেছে বাহুবলের দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ। দর-কষাকষি থেকে মারামারি। আর সেই মারামারির ফলে আহতই হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
ঘটনাটি শুনলে আপনার হাসি পাবে। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই দেখবেন, এ তো হাসির ব্যাপার নয়। চান্দদিয়া গ্রামের একজনের কাছ থেকে একই উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের একজন শিম কিনছিলেন। দরদাম নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। আর তা থেকেই কথা-কাটাকাটি। কথা-কাটাকাটিতেও থেমে থাকেনি ঘটনা। শুরু হয় হাতাহাতি। হাতেই বা সীমাবদ্ধ থাকবে কেন এ রকম ঘটনা? তাই দুপক্ষের লোকজন হাজির হয় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এবং ‘পরমানন্দে’ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করতে থাকে। দুই ঘণ্টা ধরে এই মারামারির উৎসব চলে এবং উৎসবের আনন্দ হিসেবে যুক্ত হয় অর্ধশতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর।
ঘটনাটি নিয়ে বাহুবলের মানুষ কী ভাবছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। তারা কি মনে করছে, বহুবলের মানুষ বাহুবল দেখাবে না তো কি চুপ করে ঘরে বসে থাকবে, নাকি তারা মনে করছে, এ ধরনের একটি ঘটনার জন্ম দেওয়ায় লজ্জায় অন্যের সামনে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়ছে?
তারা যে কথাই ভাবুক না কেন, স্পষ্টভাবে যে কথাটি বলা দরকার তা হলো, বাহুবলের মানুষদের ধৈর্যে টান পড়েছে, তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। এবার আরেকটু বিশদে যদি ঘটনাটির দিকে তাকাই, তাহলে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা আমরা দেখতে পাব, যাতে অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে দারুণভাবে। মানুষ সত্যিই আজ বড় অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। একেবারে গুরুত্বহীন কোনো ব্যাপারেও গায়ে পড়ে ঝগড়া করছে। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, সেই ঝগড়াও ধাবিত হচ্ছে অস্ত্র হাতে মারামারিতে।
সমাজ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা হয়তো এ ঘটনার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবেন। তবে আমাদের মনে হয়, জীবনযাপনে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা, প্রতিযোগিতার মুখে অসহায় হওয়া, রাজনৈতিকভাবে নিগৃহীত হওয়াসহ বহুবিধ কারণ রয়েছে এই অসহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে। সামান্য শিম যদি অর্ধশতাধিক মানুষকে আহত করতে পারে, তাহলে পেঁয়াজ বা আলু নিয়ে ঝগড়া বাধলে কি দেশীয় অস্ত্রের জায়গায় একে ফরটিসেভেন আর আহতের জায়গায় নিহতদের খবর পড়তে হবে আমাদের? সে দিনও কি আসছে—শঙ্কা হয় ভাবতে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫