Ajker Patrika

পাঁচ চিকিৎসকে চলছে হাসপাতাল, সেবা ব্যাহত

 গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ০৯
পাঁচ চিকিৎসকে চলছে হাসপাতাল, সেবা ব্যাহত

নাটোরের গুরুদাসপুরে ২৮ জনের জায়গায় মাত্র ৫ চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে আসছেন চিকিৎসা নিতে। রোগীর চাপ বাড়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিন চিকিৎসককে উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) না থাকায় আন্তবিভাগের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে এ হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংকটে বদলায়নি সেবার মান। ভৌগোলিক কারণে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় উপজেলার তিন লাখ মানুষ ছাড়াও আশপাশের সিংড়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার বহু মানুষ এ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিশাল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এবং একজন করে জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, গাইনি বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজি, অ্যানেসথেসিয়া, দন্ত, চক্ষু, ইউনানি, চর্ম, যৌনসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক থাকলেও ইউনানি চিকিৎসক ডেপুটেশনে নাটোর সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ১৭ জন মেডিকেল কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে ৮ জন মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসা দিচ্ছেন।

এদিকে ৩১ জন নার্সের মধ্যে ২৭ জন আছেন। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির ৭৩ জনের মধ্যে ৫৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৮ জনের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। জনবল কম থাকায় চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালে অন্যান্য সেবার মানও নাজুক হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের আন্ত ও বহির বিভাগ মিলিয়ে চারজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। এর মধ্যে এনসিডি কর্নারে একজন ও দুজন চিকিৎসক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দিয়েই চলছে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসকের সংকট থাকায় এবং হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় অনেকে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন, আবার অনেকে না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।

তাড়াশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা (৬০) জানান, অনেক সকালে এসেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সুবিধামতো মিলছে না চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক কম থাকায় তাঁদের মতো শত শত মানুষের এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাবর আলী বলেন, তাঁর হাঁটুর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সীমিত জনবল নিয়ে করোনা মহামারিসহ শীতকালীন রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও সিজারিয়ান অপারেশনসহ সব ধরনের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদের জন্য প্রতি মাসে চিঠি পাঠানো হয়। তাঁরা আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত