প্রচারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা

চতুর্থ দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে গেছে। গত ১০ নভেম্বর এ দফার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে।

বোদায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস-আদালতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে ও গ্রামেগঞ্জে ছুটছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উপজেলায় শীতের আমেজের সঙ্গে বাড়তি আমেজ যোগ হয়েছে এই নির্বাচন উপলক্ষে। এত দিন অনেকে নির্বাচন নিয়ে তেমন আলোচনা না চললেও তফসিল ঘোষণা হওয়ায় অনেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী পদে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থিতা ঘোষণা করছেন। কেউ কেউ নিজের গুণ কীর্তন করে ভোট চাচ্ছেন।

এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা সন্দেহ ও সন্দিহানের দোলাচলে থাকলেও তারাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ছোট বড় অনেক প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া নেওয়া শুরু করেছেন। সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন হতে যাওয়ায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে উপজেলায়।

বোদা সদর ইউপির বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক মহব্বত বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ এত দিন ছিল না তাই বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি সরকার হস্তক্ষেপ না করায় অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জনপ্রিয়তার কারণে অন্য দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হচ্ছেন। এ কারণে আমিও প্রার্থী হব।’

বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাহেব আলী বলেন, ‘নির্বাচন করব এ কারণে ৫ বছর জনগণের সঙ্গে কাজ করেছিলাম। আর জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তবে দলের মনোনয়ন পেলে ভালো হয়।’

ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়নের ভোটার দুলাল বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর আমরা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিব।’

ময়দানদিঘী ইউনিয়নের বাসিন্দা যাদব কুমার বলেন, ‘এবার মানুষের মধ্যে ভোটের উৎসব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। আমি চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’

বোদা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এখনই বেড়ে গেছে। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী দৈনন্দিন কাজগুলো করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।