Ajker Patrika

৫ টাকার চিতই পিঠায় ৩০ রকমের ভর্তা

মো. জাহিদুল ইসলাম, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১২: ৫৫
৫ টাকার চিতই পিঠায়  ৩০ রকমের ভর্তা

শীতের আমেজ শুরু হতেই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে ভোজনরসিকদের কাছে বিক্রি করেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠা, সঙ্গে মিলছে ৩০ রকমের ভর্তা।

প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও সন্ধ্যার পরে এসব পিঠার দোকানে ভোজনরসিকদের ভিড় দেখা যায়। নিজ নিজ পছন্দের ভর্তা দিয়ে খাচ্ছেন চিতই পিঠা।

উপজেলার ঘাঘর বাজারের মহুয়ার মোড়ে পিঠা বিক্রি করেন মো. শুভ শেখ ও তাঁর ভাই মো. আলী শেখ। এখানে তাঁরা পাঁচ টাকায় প্রতিটি চিতই পিঠা বিক্রি করেন। সঙ্গে ফ্রি পাওয়া যায় ৩০ রকমের ভর্তা।

শুভ শেখ বলেন, ‘করোনার আগে আমাদের ঢাকায় পিঠার দোকান ছিল। করোনার সময় বাড়ি চলে আসি। এসে দুই ভাই এই মহুয়ার মোড়ে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু করি।

নানা ধরনের পিঠা তৈরি করলেও বেশি চলে চিতই পিঠা। ভর্তার মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, চ্যাপা শুঁটকি, পাবদা শুঁটকি, পুঁটি শুঁটকি, টাকি শুঁটকি, লইট্টা শুঁটকি, লোনা ইলিশ, কাঁচকি শুঁটকি, ডাল, বাদাম, সরিষা, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, টমেটো, ধনেপাতা, কালিজিরা, আলু, মিক্সড ভর্তাসহ প্রায় ৩০ পদ।’

আলী শেখ বলেন, ‘প্রতিদিন ৩০-৪০ কেজি চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করি। এতে দেড়-দুই হাজার টাকা লাভ হয়। বিভিন্ন সংগঠন থেকে পিকনিকে গেলে পিঠা খাওয়ার জন্য আমাদের নিয়ে যায়। তখন যে ধরনের পিঠা তৈরি করে দিতে বলে, আমরা তা তৈরি করে দিই।’

পিঠা খেতে আসা আনন্দ দাস বলেন, এখানে প্রায় ৩০ রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়া যায়। একেক ধরনের ভর্তার স্বাদ একেক রকম। দামও কম।

উপজেলা সদরের পিঠা বিক্রেতা জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন উপজেলা সদরে ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি। আমাদের স্থায়ীভাবে বসার একটু জায়গা করে দিলে উপকৃত হতাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত