অপ্রতিরোধ্য নেইমার-হালান্ড

অল্পবয়সেই ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ তকমা জুড়ে গিয়েছিল আর্লিং হালান্ডের সঙ্গে। ইউরোপীয় ফুটবলের ‘গোলমেশিন’ তিনি। গোলপোস্টের কাছে বল পেলে নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন, ভালো করেই জানে সবাই। অস্ট্রিয়া ও জার্মান ফুটবল মাতিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লিগ ইংলিশ ফুটবলে এসেছেন হালান্ড। সেখানেও চলছে তাঁর হ্যাটট্রিক অভিযান। ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলে ৯ গোল করে ফেলেছেন ২২ বছর বয়সী তারকা। এর মধ্যে টানা দুই হ্যাটট্রিক। এর চেয়ে মধুর শুরু আর কী হতে পারে একজন জাত স্ট্রাইকারের জন্য!

হালান্ডের হ্যাটট্রিকে ২৩ বছর পর লিগে ফেরা নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। ইতিহাদে ১২, ২৩ ও ৩৮ মিনিটে গোল করে রেকর্ড বই তোলপাড় করেছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এর আগে প্রথম পাঁচ ম্যাচে আট গোল করার কৃতিত্ব ছিল ম্যানসিটি কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরো ও মিক কুইনের। দুজনের রেকর্ড ভেঙেছেন হালান্ড, টানা দুই হ্যাটট্রিকে ছুঁয়েছেন হ্যারি কেনকে। ২০১৭ সালে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্বটা এত দিন ছিল টটেনহাম অধিনায়কের।

হালান্ডের এমন গোলক্ষুধা দেখে কোচ পেপ গার্দিওলা তো বলেই দিয়েছেন, ম্যানসিটির সর্বকালের সেরা হয়ে উঠতে পারেন তাঁর এই নতুন শিষ্য। সিটিজেনদের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটা আগুয়েরোর। আর্জেন্টাইন তারকার ২৬০ গোলের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠবেন হালান্ড, এমনটা মনে করেন গার্দিওলা, ‘সার্জিও একজন কিংবদন্তি। আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা সে করেছে, সিটি-ভক্তদের মনে তার যে জায়গা, সেটা ভাঙার সাহস কারও নেই। তবে আর্লিংয়ের মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে।’

সিটির গোল উৎসবের রাতে অ্যানফিল্ডে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে লিভারপুল। আগের ম্যাচে তারা বোর্নমাউথকে ৯ গোল উড়িয়ে দিলেও নিউক্যাসলের বিপক্ষে হারতে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত ফাবিও কারভালহোর অতিরিক্ত অষ্টম মিনিটের গোলে তিন পয়েন্ট পেয়েছে অলরেডরা। তবে জয়রথ ছুটছে আর্সেনালের। টানা পাঁচ জয়ে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে গানাররা।

অন্যদিকে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে চলছে নেইমারের দাপট। দীর্ঘদিন পর ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ফের জমে উঠেছে লিওনেল মেসির জুটি। তোলুজের বিপক্ষে পিএসজির ৩-০ ব্যবধানের জয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এ নিয়ে ক্লাব ও দেশের হয়ে টানা ১৬ ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন নেইমার। ১৫ ম্যাচে এই কীর্তি আগে ছিল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।