Ajker Patrika

বিসিবির চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রিন্স রাসেল, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০৯
বিসিবির চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

সিরিজ, টুর্নামেন্ট বা সফরের আগে তারকা খেলোয়াড়দের হুট করে ছুটি কিংবা পারিবারিক প্রতিশ্রুতির কারণে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘটনা রোধে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, তাঁরা খেলোয়াড়দের চুক্তিপত্রে আগেই জেনে নেবেন কে কোন সংস্করণ খেলতে চান, কার কখন ছুটি লাগবে। সেভাবেই গত জুন মাসে খেলোয়াড়দের সরবরাহ করা চুক্তিপত্রে বেশির ভাগ ক্রিকেটার তিন সংস্করণে খেলতে রাজি হয়েছেন এবং জানিয়েছেন বছরের বাকি সময়ে কার কী পারিবারিক প্রতিশ্রুতি আছে।

তবু সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে বিশ্রাম, ছুটি কিংবা নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবারই অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিল। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল— অবসর, ছুটি কিংবা অন্য কারণে সিরিজ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই বিষয়টি আবার সামনে এসেছে সাকিব আল হাসান নিউজিল্যান্ড সফর থেকে বিশ্রাম চাওয়ায়।

অথচ সাকিবকে রেখেই গত শনিবার নিউজিল্যান্ড সফরের দল দিয়েছিলেন নির্বাচকেরা। দল ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেন সাকিব। তাঁর ছুটি মঞ্জুরও করেছে বিসিবি। দল ঘোষণার পর ছুটির আবেদন করার ঘটনা দেশের ক্রিকেট তো বটেই, পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল।

বিশ্রাম আর ব্যক্তিগত কারণে ক্রিকেটারদের আকস্মিক সরে যাওয়ার ঘটনায় আগেও সেরা দল গঠনে হিমশিম খেতে হয়েছে নির্বাচকদের। এখনো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিসিবির চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অবশ্য বিষয়টির ভালো সমাধান দূরে থাক, বরং অসহায়ত্ব বাড়ছে। সাকিবের ছুটি চাওয়ার প্রক্রিয়াটাও স্বাভাবিকভাবে দেখছে ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘তারা (ক্রিকেটাররা) কমিটমেন্টগুলো (চুক্তিপত্রে) লিখেছে খেলতে পারবে। (পাকিস্তানের বিপক্ষে) সাকিব টেস্ট খেলেছেও। তামিম চোটে পড়েছে। বাকিরা তো খেলেছে। এখন সাকিবের পরিবার থাকে যুক্তরাষ্ট্রে। ওর জন্য একটু কঠিন। সেটিও ভাবনায় রাখতে হবে।’

সাকিবের জন্য কঠিনই যখন, তাহলে মৌখিকভাবে ছুটি চাওয়ার পরও তাঁকে কেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রাখা? বাস্তবতা হচ্ছে, এত বছরেও দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের যোগ্য বিকল্প তৈরি না হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে অসহায়ত্ব বাড়ছে বিসিবির। বিসিবির সভাপতি যেমন কদিন আগে অবশ্য বলেছেন, ‘আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা যেটা করছি, সেটা হচ্ছে কারও যদি বিশ্রাম, বিরতি লাগে আমাদের আগে থেকে জানাতে হবে। তাহলে আমরা অন্য খেলোয়াড়কে তৈরি করতে পারব।’

গত জুনেও তো একই নিয়ম চালু করল বিসিবি। নতুন বছরের চুক্তিতে নতুন করে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হবে কি না, সেটি অবশ্য এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। তবে হুটহাট ছুটি-বিশ্রামের ঘটনা নিয়ে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডেরই কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাট নেই। বোর্ড নিজের জায়গায় থাকতে পারে না। বোর্ড এখন একটু হ-য-ব-র-ল অবস্থায় আছে। তাদের নিয়মকানুন পরিষ্কার নয়। যখন বোর্ডের অবস্থা এ রকম থাকে, তখন সবাই এটার সুযোগটা নিতে চাইবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত