Ajker Patrika

‘শোকসভার উপস্থিতি তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ’

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০১
‘শোকসভার উপস্থিতি তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ’

অধ্যক্ষ আফজল খান স্মরণে নাগরিক শোকসভা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর টাউন হল মাঠে এ সভা হয়। এতে বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন।

‘হৃদয়ে স্মরণে স্মৃতিতে ভালোবাসায় অধ্যক্ষ আফজল খান’ স্লোগানে নাগরিক স্মরণ পর্ষদ কুমিল্লা এ আয়োজন করে। এতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।

এতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘অধ্যক্ষ আফজল খান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের একজন মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি আফজল খানের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলাম।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘তিনি ছিলেন কুমিল্লার গণমানুষের নেতা। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি হারিয়ে যাননি। তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

সাবেক রেলপথমন্ত্রী সাংসদ মুজিবুল হক মুজিব বলেন, ‘কুমিল্লার রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনেক বেশি। তিনি যখন রাজনীতির মাঠে আসতেন তখন নেতা-কর্মীরা উৎসাহ পেতেন। তিনি যখন কান্দিরপাড় এসে দাঁড়াতেন হুড়হুড় করে মানুষ এসে ভিড় জমাতেন। কুমিল্লা মানেই আফজল খান। তাঁর মতো এমন পরিচিত নেতা কুমিল্লার আর কেউ নেই।’

বুড়িচং আসনের সাংসদ আবুল হাসেম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষ আফজল খান স্বাধীনতার আগে ও পরে সব প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সব সংগ্রামের সম্মুখ সারির নেতা ছিলেন তিনি।’

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, ‘আমরা সব ধরনের শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছি। এসব লড়াইয়ের মাঠে তাঁকে আমরা পাশে পেতাম। তিনি সব সময় অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন।’

হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল মান্নান জয় বলেন, ‘একসময় কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানেই ছিলেন অধ্যক্ষ আফজল খান। তিনি যৌবন দলটির জন্য বিলিয়ে গেছেন।’

লেখক ও গবেষক গোলাম ফারুক বলেন, ‘অধ্যক্ষ আফজল খানের জানাজা ও শোকসভায় মানুষের উপস্থিতি বলে দেয়, তিনি কুমিল্লার মানুষের কতটা আপন ছিলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত