Ajker Patrika

১৯ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪০
১৯ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

পাইকগাছা উপজেলায় ১৬৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫টি প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্য ১৯টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই চলছে। করোনাকালে প্রায় ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলেছে। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে অনেক শিক্ষকেরা জানিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক পদশূন্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সোলাদানা ইউনিয়নে বেতবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটকেলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাইনমুখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইকগাছা ভিলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কপিলমুনি ইউনিয়নে রেজাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গড়ইখালী ইউনিয়নে বগুলার চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লস্কর ইউনিয়নের বীনাপানি লতা ইউনিয়নে লতা ধলাই প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গদাইপুর ইউনিয়নে মঠবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পাইকগাছা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৬৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার ৬টি ক্লাস্টারে মোট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ২২ হাজার ১৪৮ জন। ছাত্র রয়েছে ১১ হাজার ৮৬ ও ছাত্রী রয়েছে ১১ হাজার ৬৩ জন। করোনাকালে ঝরে গেছে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী।

মঠবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ইউনুছ আলী সরদার ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এসব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না দিলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান দেওয়া সম্ভব হবে না। পাশাপাশি ঝরে যাওয়া শিশুদের স্কুলমুখী করার পরিকল্পনা করে তাঁদের ফেরাতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু হচ্ছে ইট ভাটা শ্রমিকের কাজ। শ্রমিক পিতা মাতা তাঁদের বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটায় চলে যায়। সে কারণে তাঁদের মা বাবাকে বুঝিয়ে স্কুলমুখী করতে হবে। তা না হলে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

একই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুরজিত রায় বলেন, ‘আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সহকারী শিক্ষক দিয়েই চলছে স্কুল। যিনি প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকেন তিনি সব সময় স্কুলের খাতাপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সে কারণে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানে সময় দিতে পারেন না।’

সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কেউ বদলি হয়ে চলে গেছে আবার কেউ অবসরে গেছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রাখব খুব তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য।’

পাইকগাছা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রধান শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করে। প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’

পাইকগাছা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন শাহা বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। কোন কোন স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে সেটি তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত