দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
দেবহাটায় ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর ব্যানারে সহস্রাধিক বিঘা জমি ও মৎস্য ঘের রাতের আঁধারে জবরদখল, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তদন্তকালে খলিশাখালিতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের সদস্যরা। তা ছাড়া তাঁরা বিস্তীর্ণ মৎস্য ঘেরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা নিজেদের ভূমিহীন এবং খলিশাখালির ওই বিস্তীর্ণ সম্পত্তি আইনানুযায়ী সরকারের প্রাপ্য বলে দাবি করেন। মূলত সেই দাবি থেকেই তাঁরা খলিশাখালি এলাকা দখল নিয়েছেন বলে পিবিআই কর্মকর্তাদের জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তাঁরা বলেন, জমিদার চণ্ডীচরণ ঘোষ ১৯২৭ সালে ডিএস রেকর্ডে ওই সম্পত্তি তাঁর চারজন প্রজা তাহের সানা, নবীন বিশ্বাস, গণেশ চন্দ্র স্বর্ণকার ও সহাদেব সরদারকে দিয়ে যান। অথচ জালিয়াতি করে সেই জমি পরবর্তী সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের নামে এসএ রেকর্ড করিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। সে জন্য প্রকৃত মালিক নির্ধারণে উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাইয়ের উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
পরে তদন্ত দলের সদস্যরা মামলার বাদী পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশে খলিশাখালি ত্যাগ করেন।
এদিকে বিনিময় সূত্রের বুনিয়াদে সিএস থেকে এসএ রেকর্ড এবং পর্যায়ক্রমে বিএস ও প্রিন্ট পর্চায় গেজেটভুক্ত ওই সম্পত্তির প্রায় ৩০০ মালিকের পক্ষে শিমুলিয়ার কাজি সুরুজ বলেন, ‘খলিশাখালি নামীয় ৪৩৯ দশমিক ২০ একর (১ হাজার ৩২০ বিঘা) জমির মালিক ছিলেন চণ্ডীচরণ ঘোষ। সেখান থেকে বিভিন্ন কবলা দলিল, পাট্টা দলিল ও কোর্টের রায় মোতাবেক কলকাতা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বিনিময় দলিল মূলে দেবহাটার তেজেন্দ্রনাথ চৌধুরীর ছেলে সুরেন্দ্রনাথ চৌধুরীর সঙ্গে বিনিময় করেন। এসএ রেকর্ড পরবর্তী ওই বিনিময় দলিলের গ্রহীতা ছিলেন আমার দাদা কাজি আব্দুল মালেক। সে অনুযায়ী আমিসহ আমার দাদার অন্য ওয়ারিশরা এবং ক্রমিক হস্তান্তর সূত্রে অপরাপর মালিকেরা বর্তমানে ওই সম্পত্তির বিএস রেকর্ড প্রাপ্ত হলে বর্তমান মালিকদের নামে প্রিন্ট পর্চাসহ সম্পত্তির গেজেট প্রকাশিত হয়। আমরা দীর্ঘকাল ধরে ওই সম্পত্তি ভোগদখল ও সেখানে মৎস্য ঘের করে আসছিলাম।’
কাজি সুরুজ আরও বলেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে স্থানীয় কিছু ভূমিহীন নামধারী এবং জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৭ শতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লিজগ্রহীতা ও মৎস্য ঘেরের কর্মচারীদের মারধর করে সম্পত্তি জবরদখলে নেয় এবং লাখ লাখ টাকার মাছ লুট এবং ঘেরের বাসাবাড়িগুলো ভাঙচুর করে।’ তিনি বলেন, ‘খলিশাখালির সম্পত্তির মালিকানার স্বপক্ষে সব কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। আমরা সেসব কাগজপত্র আদালতে এবং তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি, আদালতের রায়ে জবরদখলকারীরা উচ্ছেদ হবে ও আমরা প্রকৃত মালিক হিসেবে আমাদের জমি ফিরে পাব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি তদন্তের আগে কোনো মন্তব্য করতে চান না।
খলিশাখালি দখলের ঘটনার পরদিন মালিক পক্ষে সখীপুরের আনছার আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করেন। আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
দেবহাটায় ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর ব্যানারে সহস্রাধিক বিঘা জমি ও মৎস্য ঘের রাতের আঁধারে জবরদখল, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তদন্তকালে খলিশাখালিতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের সদস্যরা। তা ছাড়া তাঁরা বিস্তীর্ণ মৎস্য ঘেরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা নিজেদের ভূমিহীন এবং খলিশাখালির ওই বিস্তীর্ণ সম্পত্তি আইনানুযায়ী সরকারের প্রাপ্য বলে দাবি করেন। মূলত সেই দাবি থেকেই তাঁরা খলিশাখালি এলাকা দখল নিয়েছেন বলে পিবিআই কর্মকর্তাদের জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তাঁরা বলেন, জমিদার চণ্ডীচরণ ঘোষ ১৯২৭ সালে ডিএস রেকর্ডে ওই সম্পত্তি তাঁর চারজন প্রজা তাহের সানা, নবীন বিশ্বাস, গণেশ চন্দ্র স্বর্ণকার ও সহাদেব সরদারকে দিয়ে যান। অথচ জালিয়াতি করে সেই জমি পরবর্তী সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের নামে এসএ রেকর্ড করিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। সে জন্য প্রকৃত মালিক নির্ধারণে উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাইয়ের উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
পরে তদন্ত দলের সদস্যরা মামলার বাদী পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশে খলিশাখালি ত্যাগ করেন।
এদিকে বিনিময় সূত্রের বুনিয়াদে সিএস থেকে এসএ রেকর্ড এবং পর্যায়ক্রমে বিএস ও প্রিন্ট পর্চায় গেজেটভুক্ত ওই সম্পত্তির প্রায় ৩০০ মালিকের পক্ষে শিমুলিয়ার কাজি সুরুজ বলেন, ‘খলিশাখালি নামীয় ৪৩৯ দশমিক ২০ একর (১ হাজার ৩২০ বিঘা) জমির মালিক ছিলেন চণ্ডীচরণ ঘোষ। সেখান থেকে বিভিন্ন কবলা দলিল, পাট্টা দলিল ও কোর্টের রায় মোতাবেক কলকাতা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বিনিময় দলিল মূলে দেবহাটার তেজেন্দ্রনাথ চৌধুরীর ছেলে সুরেন্দ্রনাথ চৌধুরীর সঙ্গে বিনিময় করেন। এসএ রেকর্ড পরবর্তী ওই বিনিময় দলিলের গ্রহীতা ছিলেন আমার দাদা কাজি আব্দুল মালেক। সে অনুযায়ী আমিসহ আমার দাদার অন্য ওয়ারিশরা এবং ক্রমিক হস্তান্তর সূত্রে অপরাপর মালিকেরা বর্তমানে ওই সম্পত্তির বিএস রেকর্ড প্রাপ্ত হলে বর্তমান মালিকদের নামে প্রিন্ট পর্চাসহ সম্পত্তির গেজেট প্রকাশিত হয়। আমরা দীর্ঘকাল ধরে ওই সম্পত্তি ভোগদখল ও সেখানে মৎস্য ঘের করে আসছিলাম।’
কাজি সুরুজ আরও বলেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে স্থানীয় কিছু ভূমিহীন নামধারী এবং জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৭ শতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লিজগ্রহীতা ও মৎস্য ঘেরের কর্মচারীদের মারধর করে সম্পত্তি জবরদখলে নেয় এবং লাখ লাখ টাকার মাছ লুট এবং ঘেরের বাসাবাড়িগুলো ভাঙচুর করে।’ তিনি বলেন, ‘খলিশাখালির সম্পত্তির মালিকানার স্বপক্ষে সব কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। আমরা সেসব কাগজপত্র আদালতে এবং তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি, আদালতের রায়ে জবরদখলকারীরা উচ্ছেদ হবে ও আমরা প্রকৃত মালিক হিসেবে আমাদের জমি ফিরে পাব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি তদন্তের আগে কোনো মন্তব্য করতে চান না।
খলিশাখালি দখলের ঘটনার পরদিন মালিক পক্ষে সখীপুরের আনছার আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করেন। আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫