Ajker Patrika

পেছনের দরজা দিয়ে পালানো মেয়েটিই কাবাডিতে সেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পেছনের দরজা দিয়ে পালানো মেয়েটিই কাবাডিতে সেরা

রক্ষণশীল এক পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। বাবা মসজিদের ইমাম। এমন এক পরিবারের মেয়ে কি না খেলবে কাবাডি! পরিবার তো বটেই, আপত্তি এল এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকেও। কিন্তু কাবাডির প্রেমে মজে থাকা মেয়েটি বেছে নিল অন্য উপায়। কোচিংয়ের নাম করে পেছনের দরজা দিয়ে পালানো সেই জুলি আক্তার আজ করপোরেট নারী লিগের জয়ী দল ঢাকা টুয়েলভের গর্বিত এক খেলোয়াড়।

গতকাল টেকনো মিডিয়াকে ২৩-২২ পয়েন্টে হারিয়ে শিরোপা জেতা ঢাকা টুয়েলভের দলে আলাদা নজর কেড়েছেন দুই খেলোয়াড়—জুলি ও মায়া আক্তার। কাবাডির মতো বেশ কায়িকশ্রমের খেলাটা তাঁরা আপন করে নিয়েছেন ধর্মীয় নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেই। তবে জুলির গল্পটা একটু অন্য রকম। কাবাডির প্রতি ভালোবাসায় নিজের পরিবারের বাধা যেমন পেরিয়েছেন, তেমন সমাজের অনেক সমালোচনার স্তরও পেছনে ফেলে সামনে এগিয়েছেন।

বরিশাল সদরের আলহাজ দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা খেলাধুলায় বেশ ভালো। সেই স্কুলের ‘বড় আপু’দের খেলা দেখে জুলির মনে তৈরি হলো কাবাডির প্রতি ভালোবাসা। পরিবারকে জানাতেই প্রথম বাধা এল সেখান থেকেই। সোজা ‘না’ করে দিলেন মা। বাধ্য হয়ে কোচিংয়ের নাম করে খেলা চালিয়ে গেলেন জুলি। আইজিপি কাপ খেলতে প্রথমবার যখন ঢাকায় এলেন, তখনো মাকে বলেছিলেন, ‘এটাই শেষ। আর কখনো খেলব না!’

এসএসসি পরীক্ষা শেষ করা জুলির সামনে এখন জুনিয়র কাবাডি বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি। ঢাকায় আসতে যে মেয়েকে শত কাকুতি-মিনতি করতে হয়েছে পরিবারের কাছে, সেই মেয়ে বিদেশে গিয়ে বিশ্বকাপে খেলবে, পরিবার রাজি হবে তো? এবার বেশ আত্মবিশ্বাসী জুলি। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার মতো বয়স আমার হয়েছে। আর আজকের (গতকাল) ম্যাচটা বাবা-মা হয়তো দেখেছেন। আশা করি তাঁরা এবার আমাকে একটু হলেও সমর্থন দেবেন।’

করপোরেট লিগে খেলতে তিন মাসের বেশি সময় ধরে পরিবারের বাইরে রেইডার পজিশনে খেলা জুলি। ক্যাম্পে থাকা অন্য সতীর্থদের সঙ্গে সুখী একটা পরিবারের মতো ছিলেন এত দিন। লিগজয়ী খেলোয়াড় হয়ে এবার ফিরবেন নিজের পরিবারের কাছে। বিশ্বকাপের দলে ডাক পেলে আবারও ফিরতে হবে ঢাকায়। লিগ মাতানো জুলির স্বপ্ন এবার জাতীয় দলে খেলা। বললেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। কাবাডিতে যদি পারিশ্রমিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমার মতো আরও অনেক মেয়ে সাহস পাবে কাবাডিতে আসার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত