কাজী নজরুল ইসলাম
১৯২৯ সালে রাজনৈতিক সফরে কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন নজরুল। সেটা ছিল কৃষক সম্মেলন। কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ, আবদুল হালীম, গ্রেট ব্রিটেনের ফিলিপ স্প্যাটও যোগ দিয়েছিলেন সেই সভায়। কবি তাঁর স্ত্রী প্রমীলা, শাশুড়ি গিরিবালা দেবী, ছেলে বুলবুল ও সব্যসাচীকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে সেটাই ছিল নজরুলের এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেষ রাজনৈতিক সভা।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন নজরুল। সমবেত শ্রোতারা শুনতে চাইছিলেন নজরুলের গান, নজরুলের কবিতা। নজরুল ‘কৃষকের গান’, ‘জেলেদের গান’, ‘শ্রমিকের গান’ গেয়েছিলেন দরাজকণ্ঠে। ‘এনকোর’ এনকোর’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল গোটা হলঘর।
সভা শেষে মুজাফ্ফর আহমদেরা চলে গেলে নজরুল গেলেন গড়াই নদের অপর পারে হাটশ হরিপুর গ্রামে। সেটা বসন্তকাল এবং রমজান মাস চলছে। নদের চরে শিকার করতে গিয়েছিলেন কবি। একটা হরিয়াল আর একটি ঘুঘু পাখি শিকার করা হয়েছিল। কবির নির্দেশমতো তা রান্না হয়েছিল বেশি ঝাল আর কম ঝোল দিয়ে। সন্ধ্যায় চা-পর্বের পর শুরু হলো গানের আসর। এখানে কবি গাইলেন ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘আসে বসন্ত ফুলবনে’, ‘চল চল চল,’ ‘বাজল কিরে ভোরের সানাই’সহ অনেকগুলো গান। তারাবির নামাজের পথে রওনা দেওয়া মুসল্লিরা নজরুলের গান শুনতে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরদিন আবার গান হবে।
কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে এরই মধ্যে সলাপরামর্শ করে নেন নজরুল। পরদিন সকালে দেখা গেল কবি নেই। কবির বিছানা শূন্য, সঙ্গে এসেছিলেন হেমন্তবাবু আর নিশিকান্তবাবু, তাঁদের বিছানাও শূন্য। খবর রটে যাওয়ায় সাইকেল নিয়ে ছুটল একজন খেয়াঘাটে। মাঝি বলল, প্রথম খেয়াতেই কবি বন্ধুবান্ধবসমেত চলে গেছেন। কবি চলে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ‘মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা’য় কুষ্টিয়ার কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হন। কেউ কেউ মনে করেন, সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এড়াতেই কবি এভাবে চলে গিয়েছিলেন।
সূত্র: আবুল আহসান চৌধুরী, অজ্ঞাত নজরুলের সন্ধানে, পৃষ্ঠা ৭৭-৭৮
১৯২৯ সালে রাজনৈতিক সফরে কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন নজরুল। সেটা ছিল কৃষক সম্মেলন। কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ, আবদুল হালীম, গ্রেট ব্রিটেনের ফিলিপ স্প্যাটও যোগ দিয়েছিলেন সেই সভায়। কবি তাঁর স্ত্রী প্রমীলা, শাশুড়ি গিরিবালা দেবী, ছেলে বুলবুল ও সব্যসাচীকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে সেটাই ছিল নজরুলের এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেষ রাজনৈতিক সভা।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন নজরুল। সমবেত শ্রোতারা শুনতে চাইছিলেন নজরুলের গান, নজরুলের কবিতা। নজরুল ‘কৃষকের গান’, ‘জেলেদের গান’, ‘শ্রমিকের গান’ গেয়েছিলেন দরাজকণ্ঠে। ‘এনকোর’ এনকোর’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল গোটা হলঘর।
সভা শেষে মুজাফ্ফর আহমদেরা চলে গেলে নজরুল গেলেন গড়াই নদের অপর পারে হাটশ হরিপুর গ্রামে। সেটা বসন্তকাল এবং রমজান মাস চলছে। নদের চরে শিকার করতে গিয়েছিলেন কবি। একটা হরিয়াল আর একটি ঘুঘু পাখি শিকার করা হয়েছিল। কবির নির্দেশমতো তা রান্না হয়েছিল বেশি ঝাল আর কম ঝোল দিয়ে। সন্ধ্যায় চা-পর্বের পর শুরু হলো গানের আসর। এখানে কবি গাইলেন ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘আসে বসন্ত ফুলবনে’, ‘চল চল চল,’ ‘বাজল কিরে ভোরের সানাই’সহ অনেকগুলো গান। তারাবির নামাজের পথে রওনা দেওয়া মুসল্লিরা নজরুলের গান শুনতে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরদিন আবার গান হবে।
কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে এরই মধ্যে সলাপরামর্শ করে নেন নজরুল। পরদিন সকালে দেখা গেল কবি নেই। কবির বিছানা শূন্য, সঙ্গে এসেছিলেন হেমন্তবাবু আর নিশিকান্তবাবু, তাঁদের বিছানাও শূন্য। খবর রটে যাওয়ায় সাইকেল নিয়ে ছুটল একজন খেয়াঘাটে। মাঝি বলল, প্রথম খেয়াতেই কবি বন্ধুবান্ধবসমেত চলে গেছেন। কবি চলে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ‘মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা’য় কুষ্টিয়ার কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হন। কেউ কেউ মনে করেন, সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এড়াতেই কবি এভাবে চলে গিয়েছিলেন।
সূত্র: আবুল আহসান চৌধুরী, অজ্ঞাত নজরুলের সন্ধানে, পৃষ্ঠা ৭৭-৭৮
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫