Ajker Patrika

হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৪৯
হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

দরপত্রে দাখিল করা টাকার চেয়ে কম টাকায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেননি। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটির দাবি, ইজারায় কোনো অনিয়ম হয়নি।

সূত্র জানায়, হাইকোর্টে রিটের কারণে আইনি জটিলতায় প্রায় ১৪ মাস কোলা হাটের কোনো ইজারাদার ছিলেন না। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির পর উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমীন গত ২৯ জুলাই পত্রিকায় হাট ইজারাদারের বিজ্ঞপ্তি দেন। বাংলা বছরের হিসেবে অবশিষ্ট আট মাসের জন্য এই দরপত্র খোলা হয় গত ১৭ আগস্ট।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলার পাতনা গ্রামের মো. এনামুল হক, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন ও নওগাঁ সদর উপজেলার আতিকুজ্জামান আলী দরপত্রে অংশ নেন। তিনজনের মধ্যে এনামুল হক সর্বোচ্চ দরদাতা। তিনি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ টাকা এবং সাজ্জাদ হোসেন ৫৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭০০ টাকা ও অতিকুজ্জামান ৩৬ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকার দর দেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনামুল হকের কাছ থেকে মূলত অনেক কম টাকা নিয়ে হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন হাট থেকে হাসিল আদায় করছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার চেয়ে এনামুল হকের দর অনেক বেশি থাকায় নিয়মানুযায়ী তাঁকেই হাট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু পরে এনামুল হকের কাছে ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৬ টাকায় হাটটি ইজারা দেওয়া হয়। যোগসাজশ করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। ইউএনও রাজস্ব ফাঁকির দায় কোনোভাবে এড়াতে পারেন না।’

এদিকে হাটের আগের ইজারাদার ও রিট পিটিশন মামলার বাদী ফেরদৌস হোসেন দাবি করেন, মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় ঈদুল আজহার পর ইউএনও আলপনা ইয়াসমীন তাঁর কার্যালয়ে ফেরদৌসকে ডেকে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি লিখিত কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন। তিনি ইউএনওর চাপের মুখে স্বাক্ষর দেন।

বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম খাঁন বলেন, ‘ইজারায় ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ টাকা সর্বোচ্চ দর ছিল। শিডিউলে দেওয়া দরের চেয়ে একটি টাকাও কম নেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই। কিন্তু শিডিউলে দেওয়া দরের চেয়ে অনেক কম টাকায় হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। এটা গুরুতর অনিয়ম বলে মনে করছি। এর ফলে ইজারার দরপত্রে মূল্যায়ন কমিটির রেজুলেশনে আমি স্বাক্ষর করিনি, আর কখনো করবও না। এ জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে।’

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও আলপনা ইয়াসমীন বলেন, ১৭ আগস্ট দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাস হাসিল আদায়ের সময় বাদ দিয়ে আনুপাতিক হারে ইজারার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে হাটটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত