Ajker Patrika

বসতঘরে আগুনে পুড়ে মরল কিশোর ও শিশু

মুরাদনগর ও সদর দক্ষিণ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩২
বসতঘরে আগুনে পুড়ে মরল কিশোর ও শিশু

মুরাদনগর ও সদর দক্ষিণ বসতঘরে আগুন লেগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিশু, অপরজন কিশোর। গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী পশ্চিম পাড়া বড় বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় ঘরে মুজাহিদ (১৬) ঘুমিয়ে ছিল। ঘুমের মধ্যেই পুড়ে মারা যায় সে।

মুজাহিদ উপজেলার টনকী গ্রামের প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে এবং টনকি হানিফ সরকার উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের বাবা ইব্রাহিম মিয়া সৌদি আরবে থাকেন। ঘটনার আগের দিন মুজাহিদকে বাসায় রেখে তাঁর মা ফেরদৌসী বেগম অপর দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি যান। গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এক প্রতিবেশী হঠাৎ ঘরে আগুন জ্বলতে দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর আগেই ঘরের মধ্যে একা ঘুমিয়ে থাকা মুজাহিদসহ পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল হুদা নয়ন বলেন, ‘আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ সময় আগুনের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামন তালুকদার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে নিহত কিশোর মুজাহিদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করায় সুরতহাল রিপোর্ট করেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ও বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামন তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে।’

সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া গ্রামের আবু মিয়ার বাড়িতে আগুন লেগে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশুটির নাম মো. আজমির হোসেন। সে আবু তাহেরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আবু মিয়ার বাড়িতে প্রথম আগুন লাগে। এরপর আবু তাহেরের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এর আগেই আগুন নিভে যায়। এই ঘটনায় ঘরে আটকা পড়া শিশু আজমির মারা যায়।

সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মীর মো. মারুফ জানান, তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটছিলেন। সুয়াগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে আগুন নেভানোর খবর পেয়ে তাঁরা স্টেশনে ফেরত যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।

এ সময় তাঁদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত