Ajker Patrika

ফেরি করে পতাকা বিক্রি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩২
ফেরি করে পতাকা বিক্রি

হেমায়েত মাতব্বরের বাড়ি ফরিদপুর। প্রতি বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় পতাকা ফেরি করে বিক্রির কাজে নেমে পড়েন তিনি। গত ১০ বছর ধরে এ কাজ করছেন। এবার এসেছেন জয়পুরহাটে। তাঁর সঙ্গে এসেছেন আজানুর নামে আরও একজন। পথে পথে তাঁরা বিক্রি করছেন লাল-সবুজের পতাকা।

এবার দুজন মিলে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার পতাকা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা।

কথা হলে হেমায়েত মাতব্বর আজকের পত্রিকাকে জানান, পেশায় তিনি মূলত একজন কৃষক। কিন্তু প্রতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম থেকে ১৬ তারিখ, ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে ২১ তারিখ এবং মার্চের প্রথম থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শহর বন্দরের জনবহুল স্থান, ব্যবসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ফেরি করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তিনি। জয়পুরহাট জেলা সদরের শান্তিনগর এলাকার একটি বোর্ডিংয়ে উঠেছেন।

তিনি বলেন, ‘এবার দুজন মিলে দেড় লাখ টাকার জাতীয় পতাকাসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে বিক্রির জন্য জয়পুরহাটে এসেছি। বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার কেনাবেচা করার আশা আছে।’

হেমায়েত মাতব্বর বলেন, ‘আমার কাছে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা মূল্যের জাতীয় পতাকা এবং পতাকার ছবি সংযুক্ত বিভিন্ন পণ্য আছে। স্কুলে পড়ুয়া ছোট ছোট শিশুরাই এসব পণ্য বেশি কেনে। অন্যদের কাছেও এখন পতাকার ভালো কদর।’

জয়পুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সানজানা ১০ টাকা দিয়ে একটি হাত পতাকা কিনেছে। সে বলে, ‘পতাকা নিয়ে আমি ১৬ ডিসেম্বর স্কুলে যাব। অন্য বন্ধুরাও জাতীয় পতাকা কিনেছে।’

জয়পুরহাট সদরের আলহেরা একাডেমি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সৌরভও ১০ টাকা দিয়ে একটি ছোট পতাকা কিনেছে। সৌরভ বলে, ‘১৬ ডিসেম্বর হাতে পতাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরব।’

আরমান নামে এক ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে ১৬ ডিসেম্বরসহ জাতীয় দিবসগুলোতে দোকানে জাতীয় পতাকা টানিয়ে দিই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত