Ajker Patrika

সিগারেটের আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ও ঢামেক প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ১১
সিগারেটের আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ট্রাকের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে নারী-শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় একটি টিনশেড বাড়ির পেছনে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাতজন হলেন আলম (৪০), জজ মিয়া (৫০), সাথী (২০), আসমা (৪০), হাসিনা (৩৮) ও শিশু হাফসা (৬) ও তাহমিনা। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বাড়ির পেছনে ঘটনাস্থলে একটি ট্রাকের গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে কারও একজনের সিগারেটের আগুন থেকে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধ জজ মিয়ার ভাই নাজমুল হাসান জানান, তাঁদের বাসা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা আলীগঞ্জে। সবার বাসাই পাশাপাশি। একই বাড়ির ট্রাকমালিক আব্দুল বাতেন দুপুরে ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার তাঁদের বাসার কাছে রাখেন। গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে সেখান থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। এ সময় সিগারেট খেয়ে সিলিন্ডারের পাশে ফেলে দিলে গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। এবং সেই আগুনের ফুলকি কয়েকটি বাড়ির মধ্যে চলে যায়। এতে তাঁরা দগ্ধ হন।

প্রতিবেশী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের সবার বাসাই পাশাপাশি। বাতেনের ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার বাসার পাশেই রেখেছিল। ওই সিলিন্ডারের মুখ থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। আলম সিগারেট খেয়ে সিলিন্ডারের কাছে ফেলে। তখনই গ্যাসের আগুন ফুলকি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায়। এতে বাতেনের স্ত্রী আসমাসহ সাতজন দগ্ধ হয়।’

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে একটি দল সেখানে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের সময় সিগারেটের আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটে।’

ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, শিশুসহ সাতজনকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আলমের শরীরের ১০০ শতাংশ, জজ মিয়ার ৮০ শতাংশ, হাসিনা মমতাজের ৬৬ শতাংশ, আসমার ৪১ শতাংশ, হাফসার ১৬ শতাংশ, সাথীর ৬ শতাংশ ও তাহমিনার ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আলম, হাসিনা, মমতাজ, আসমা ও জজ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত