Ajker Patrika

৬ বছর ধরে কৃষকেরাই পাকা করছেন সড়ক

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১৩: ০৩
৬ বছর ধরে কৃষকেরাই পাকা করছেন সড়ক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কৃষকেরা নিজেদের টাকায় একটি সড়ক পাকা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ বছর ধরে তাঁরা সড়কের কিছু কিছু অংশ পাকা করে যাচ্ছেন। হাওরের ধান তুলতে তাঁদের এ সড়কটি পাকা হওয়া দরকার। কিন্তু সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকেরা।

কৃষক ও স্থানীয়বাসী জানান, উপজেলার নলুয়ার হাওরের ধান ঘরে তুলতে জগন্নাথপুর পৌরসভার শেরপুর এলাকা থেকে হরতাজপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি (স্থানীয়ভাবে ত্রিশ সড়ক নামে পরিচিত) পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা ও এলজিইডি দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুফল আসেনি। ফলে ২০১৭ সাল থেকে কৃষকেরা নিজেদের অর্থায়নে সড়ক পাকা করার কাজ শুরু করেন। ৬ বছর ধরে তাঁরা সড়কের কিছু কিছু অংশ পাকা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছর ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০০ ফুট সড়ক পাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা।

কৃষক পাখি মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি পাকা করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। কিন্তু কেউই সেদিকে নজর দিচ্ছেন না। কাউয়াদীঘি হাওরের বোরো ফসল ঘরে তুলতে অনেক সমস্যা হয়। বারবার দুর্ঘটনা ঘটে, লোকজন আহত হন। অথচ ভোট এলে আমাদের নানা প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। ভোট চলে গেলে আর কোনো খোঁজ থাকে না তাঁদের।’

হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুর রহমান জানান, হাওরের ফসল ঘরে তোলার জন্য ডুবন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে কৃষকেরা নিজেদের টাকায় সড়ক পাকা করার কাজ শুরু করেন।

জগন্নাথপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছমির আলী বলেন, ‘সড়কটি পৌর এলাকা থেকে শুরু হয়ে কলকলিয়া ইউনিয়নের গড়গাঁও মৌজা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সড়কে পৌরসভার কাজ করার সুযোগ কম। তাই আমরা বারবার এলজিইডির মাধ্যমে ডুবন্ত সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কটি এলজিইডির গেজেট ভুক্ত না। আমরা সড়কটি গেজেটভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। গেজেট হলে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত