Ajker Patrika

খননের ৪ কোটি টাকা যাচ্ছে জলে

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩১
খননের ৪ কোটি টাকা যাচ্ছে জলে

পাঁচ বছর আগে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় পুনরায় খনন করা হয় নারোদ নদী। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নদী খনন করে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ও খরা মৌসুমে কৃষিকাজে সেচের ব্যবস্থা করা। কিন্তু কয়েকটি স্থানে সড়ক সংযোগে কালভার্ট নির্মাণ না করায় পদ্মা নদী থেকে প্রয়োজনীয় পানি আসছে না। একই সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে না। এতে নদী অনেক স্থানে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

অপর দিকে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নদী দখল নিয়ে মাছ চাষ করছেন। ফলে নদী খননের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরেন্দ্র এলাকায় খাল ও নদীর পানি সংরক্ষণ এবং সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া নারোদ নদীটি পুনরায় খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর এলাকা থেকে মুসাখাঁ পর্যন্ত নারোদ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। অবৈধ দখলমুক্তকরণ ও পুনরায় খনন করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে খরা মৌসুমে এ অঞ্চলের ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর কৃষিজমি সেচের আওতায় আসত। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘ সময় জমে থাকা অতিরিক্ত পানিনিষ্কাশনে সহায়ক হবে। সে লক্ষ্যে নারোদ নদীর ১৩টি স্থানে সোলার প্যানেলভিত্তিক অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু চারঘাট-সারদা ট্রাফিক মোড়ের কাছে একটি কালভার্ট সংস্কার ও সম্প্রসারণ না করায় পদ্মা নদী থেকে নারোদ নদীতে পানির প্রবাহ বন্ধ রয়েছে।

চারঘাট বালদিয়াড় এলাকার চাষি কবির হোসেন বলেন, ‘খননের আগে নদীর বেশির ভাগ অংশের কোনো চিহ্ন ছিল না। পরে তা দখলমুক্ত করে নদী আবার খনন করা হয়, যা প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু নদীর ওপরে বিভিন্ন স্থানে কালভার্ট তৈরি করা হয়নি। যার কারণে নদীতে পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। তাঁরা সেচের জন্য নদী থেকে পানি তুলতে গেলে বাধা দেন।’

পুঠিয়া সদর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক হোসেন বলেন, বরেন্দ্র নদী খননের সঙ্গে দুই পাড়ে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সেই গাছ কেটে সাবাড় করছেন।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুঠিয়া আঞ্চলিক কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ বলেন, ‘নারোদ নদী দখলমুক্ত করে প্রায় ৫ বছর আগে পুনরায় খনন করা হয়। আবারও তা বেদখল হলে ভূমি অফিস দখলমুক্ত করবে। স্থানীয় চাষিদের সেচসুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে নদীর বিভিন্ন স্থানে অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে, এমন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত