Ajker Patrika

আবাসন গিলছে কৃষিজমি

দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১১: ০৩
আবাসন গিলছে কৃষিজমি

জেলায় প্রতি বছর এক শতাংশ হারে কৃষিজমি কমছে। আশঙ্কাজনক হারে উর্বর জমি পরিবর্তিত হচ্ছে অনাবাদিতে। চলতি বছরের গত আগস্ট মাসে দুই হেক্টর আবাদি জমি কমেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে কুমিল্লায় আবাদি জমি কমেছে ৮২৪ হেক্টর। সবচেয়ে বেশি আবাদি জমি কমেছে সদর উপজেলা, বুড়িচং ও চান্দিনা উপজেলায়।

আশঙ্কার বিষয় হলো ইটভাটার মাটির জোগান দিতে জমির ওপরিভাগ কেটে ফেলা হচ্ছে। জেলার গোমতি নদীর দুই পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় ফসলি জমি জলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এ ছাড়া আবাসিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণেও ব্যবহার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, জেলার আয়তন ৩ লাখ ৭ হাজার ৬০ হেক্টর। বর্তমানে জেলার ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। জেলার ৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ পরিবার কৃষির বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা উপার্জনের প্রধান উৎস হিসেবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। একই জমিতে একাধিক বার ফসল উৎপাদনের জন্য এই জেলার কৃষকদের সুনাম রয়েছে।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বুড়িচং উপজেলায় কৃষি জমি থেকে বসতবাড়িতে পরিবর্তিত জমির পরিমাণ ১৮ দশমিক ৩৯ হেক্টর, শিল্প কারখানায় পরিবর্তিত জমির পরিমাণ ১৩ দশমিক ৬০ হেক্টর, কৃষিভিত্তিক শিল্পে পরিবর্তিত জমি ২০ দশমিক ১৫ হেক্টর, গ্রামীণ রাস্তা, সড়ক ও মহাসড়কে ১৭ দশমিক ১০ হেক্টর, ইটভাটায় পরিবর্তিত শূন্য দশমিক ৫০ হেক্টর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তিত হয়েছে আরও শূন্য দশমিক ৭৪ হেক্টর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখনো হাইব্রিড ফলনের ওপর নির্ভরশীলতা থাকায় আবাদি জমির কমে যাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবটা দৃশ্যমান নয়। তবে এটা মোটেও উচিত নয়। নগরায়ন হবেই। তবে জনসংখ্যা অনুপাতে আবাদি জমির পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। এ জন্য ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত