সম্পাদকীয়
হাসির গল্পের রাজা বলে শিবরাম চক্রবর্তীর নাম আছে। একটা মেসে কাটিয়েছেন অনেকটা কাল। একটা ঘরের একটা তক্তপোশই ছিল তাঁর আশ্রয়, অথচ মনটা ঘুরে বেড়াত বিশ্বজুড়ে।
একবার প্রেমেন্দ্র মিত্র একটা পোস্টকার্ড পেলেন। লিখেছেন শিবরাম। প্রেমেন্দ্র মিত্রের অপরিণত বয়সের একটি লেখার প্রশংসা করে সেই পোস্টকার্ড। শিবরাম চক্রবর্তী তখন অনেক বড় লেখক।
একদিন প্রেমেন্দ্র মিত্র সবচেয়ে সস্তা টিকিট কিনে সিনেমা দেখছেন ম্যাডান সিনেমা হলে, পরে যার নাম হয়েছিল এলিট। তখনো সিনেমা কথা বলে না। বাজনা বাজানো হয় দৃশ্যের সঙ্গে। সিনেমা দেখছেন প্রেমেন্দ্র, এ সময় পাশের আসনের মানুষটি বদলে গেল। সে আসনে এসে বসলেন শিবরাম এবং একটু পরেই প্রেমেন্দ্র বুঝতে পারলেন, তাঁরা এখন আর সিনেমা হলে নেই। কলকাতা শহর ছাড়িয়ে ভারতবর্ষ পেরিয়ে অন্য এক লোকে পৌঁছে গেছেন। শিবরাম কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধুত্ব পাকা করে নিয়ে বিশ্বভ্রমণের ফন্দি আঁটছেন। শিবরামের দৃঢ় বিশ্বাস, পৃথিবী ভ্রমণ না করলে সাহিত্যিক হওয়া যায় না।
প্রেমেন্দ্র মিত্র থ হয়ে গেছেন। তখন পর্যন্ত তাঁর দৌড় লক্ষ্ণৌ থেকে ঢাকা আর গঙ্গাসাগর। আর এখন কিনা বিশ্বভ্রমণের পাঁয়তারা!
বিশ্বভ্রমণের জন্য মন প্রস্তুত, সমস্যা শুধু টাকার। সেটাও কি খুব বড় ব্যাপার? সে ব্যাপারটাও তো শিবরাম প্রায় মিটিয়ে ফেলেছেন। এক লাখ টাকা তাঁর হাতের মুঠোয়। হাইকোর্টের একটা মামলার রায় বের হলেই হাতে চলে আসবে এই টাকা!
এগুলো কিন্তু বানানো কথা নয়। শিবরামের সেই মামলাটা কিন্তু হাইকোর্টে উঠেছিল। প্রধান বিচারপতি নিজেই রায় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হাইকোর্টের ইতিহাসে এমন আজগুবি মামলা কেউ কখনো করেনি।
শিবরাম মামলা করার সময় আইনকানুন, উকিল-ব্যারিস্টার কিছুরই তোয়াক্কা করেননি। একজনকে শুধু সাক্ষী মেনেছেন। কাকে? যাঁর কাছে টাকার দাবি, তাঁকে! সেই সাক্ষী এসে বললেন, দাবি ভুয়া। ব্যস, মামলা ডিসমিস!
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ২১৮-২১৯
হাসির গল্পের রাজা বলে শিবরাম চক্রবর্তীর নাম আছে। একটা মেসে কাটিয়েছেন অনেকটা কাল। একটা ঘরের একটা তক্তপোশই ছিল তাঁর আশ্রয়, অথচ মনটা ঘুরে বেড়াত বিশ্বজুড়ে।
একবার প্রেমেন্দ্র মিত্র একটা পোস্টকার্ড পেলেন। লিখেছেন শিবরাম। প্রেমেন্দ্র মিত্রের অপরিণত বয়সের একটি লেখার প্রশংসা করে সেই পোস্টকার্ড। শিবরাম চক্রবর্তী তখন অনেক বড় লেখক।
একদিন প্রেমেন্দ্র মিত্র সবচেয়ে সস্তা টিকিট কিনে সিনেমা দেখছেন ম্যাডান সিনেমা হলে, পরে যার নাম হয়েছিল এলিট। তখনো সিনেমা কথা বলে না। বাজনা বাজানো হয় দৃশ্যের সঙ্গে। সিনেমা দেখছেন প্রেমেন্দ্র, এ সময় পাশের আসনের মানুষটি বদলে গেল। সে আসনে এসে বসলেন শিবরাম এবং একটু পরেই প্রেমেন্দ্র বুঝতে পারলেন, তাঁরা এখন আর সিনেমা হলে নেই। কলকাতা শহর ছাড়িয়ে ভারতবর্ষ পেরিয়ে অন্য এক লোকে পৌঁছে গেছেন। শিবরাম কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধুত্ব পাকা করে নিয়ে বিশ্বভ্রমণের ফন্দি আঁটছেন। শিবরামের দৃঢ় বিশ্বাস, পৃথিবী ভ্রমণ না করলে সাহিত্যিক হওয়া যায় না।
প্রেমেন্দ্র মিত্র থ হয়ে গেছেন। তখন পর্যন্ত তাঁর দৌড় লক্ষ্ণৌ থেকে ঢাকা আর গঙ্গাসাগর। আর এখন কিনা বিশ্বভ্রমণের পাঁয়তারা!
বিশ্বভ্রমণের জন্য মন প্রস্তুত, সমস্যা শুধু টাকার। সেটাও কি খুব বড় ব্যাপার? সে ব্যাপারটাও তো শিবরাম প্রায় মিটিয়ে ফেলেছেন। এক লাখ টাকা তাঁর হাতের মুঠোয়। হাইকোর্টের একটা মামলার রায় বের হলেই হাতে চলে আসবে এই টাকা!
এগুলো কিন্তু বানানো কথা নয়। শিবরামের সেই মামলাটা কিন্তু হাইকোর্টে উঠেছিল। প্রধান বিচারপতি নিজেই রায় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হাইকোর্টের ইতিহাসে এমন আজগুবি মামলা কেউ কখনো করেনি।
শিবরাম মামলা করার সময় আইনকানুন, উকিল-ব্যারিস্টার কিছুরই তোয়াক্কা করেননি। একজনকে শুধু সাক্ষী মেনেছেন। কাকে? যাঁর কাছে টাকার দাবি, তাঁকে! সেই সাক্ষী এসে বললেন, দাবি ভুয়া। ব্যস, মামলা ডিসমিস!
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ২১৮-২১৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫