নিখুঁত শিরোনাম দিতে পারতেন সিরাজুদ্দীন হোসেন। ইত্তেফাক পত্রিকার জনপ্রিয়তার একটা বড় কারণ ছিল প্রতিবেদনের অব্যর্থ শিরোনাম। ‘সুকুইজ্জ্যা কডে’, ‘চিনিল কেমনে?’ ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’ ধরনের শিরোনামগুলো তাঁর কীর্তির কথা মনে করিয়ে দেয়।
মুসলিম লীগের শাসনামলে রূপমহল সিনেমা হলে ক্ষমতাসীন দলের সভা হচ্ছিল। দলে তখন গ্রুপিং। দলাদলি পৌঁছে গেছে বিশৃঙ্খল অবস্থায়। মন্ত্রী, বড় বড় নেতার সামনেই বিভিন্ন উপদলের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মারপিট। হট্টগোল এমন জায়গায় পৌঁছাল যে পুলিশ বাধ্য হয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করল।
ইত্তেফাক থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন প্রতিবেদক শামস উল হুদা। তিনি ফিরে এসে বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে ঘটনা বললেন। কীভাবে প্রতিবেদনটি লিখতে হবে, সেই নির্দেশনা দিলেন সিরাজ। আট কলামে ব্যানার হেডিং হবে, এ রকমই ভাবছিলেন বার্তা সম্পাদক। কিন্তু সন্ধ্যার পর তথ্য দপ্তর থেকে এল নির্দেশ—সরকারি দলের সভায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, এ কথা লেখা যাবে না।
পুলিশের লাঠিচার্জের কথাই যদি না ছাপা যায়, তাহলে এ খবরের কোনো মানেই তো হয় না। শামস উল হুদা নিরাশ হয়ে বললেন, ‘তাহলে কী করব সিরাজ ভাই?’
সিরাজুদ্দীন হোসেন হেসে বললেন, ‘ওদের কাজ ওরা করেছে, আমরা আমাদের কাজ করব।’
পরদিন ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় আট কলামে ছাপা হলো খবরটি এভাবে, ‘সরকারি দল মুসলিম লীগের সভা, পুলিশের লাঠিচার্জ হয় নাই, আহত ২৫ জন’।
এরপর আর কিছু কি বোঝার বাকি থাকল পাঠকের?
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আর আলবদররা যখন চামেলীবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, তখন তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি আর গেঞ্জি। ভয়াবহ শীতের সে রাতে চোখে গামছা বেঁধে তাঁকে নিয়ে ওঠানো হয় কাদালেপা মাইক্রোবাসে। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
সূত্র: সিরাজুদ্দীন হোসেন ও সমকালীন সাংবাদিকতা, পৃষ্ঠা ৩৪
নিখুঁত শিরোনাম দিতে পারতেন সিরাজুদ্দীন হোসেন। ইত্তেফাক পত্রিকার জনপ্রিয়তার একটা বড় কারণ ছিল প্রতিবেদনের অব্যর্থ শিরোনাম। ‘সুকুইজ্জ্যা কডে’, ‘চিনিল কেমনে?’ ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’ ধরনের শিরোনামগুলো তাঁর কীর্তির কথা মনে করিয়ে দেয়।
মুসলিম লীগের শাসনামলে রূপমহল সিনেমা হলে ক্ষমতাসীন দলের সভা হচ্ছিল। দলে তখন গ্রুপিং। দলাদলি পৌঁছে গেছে বিশৃঙ্খল অবস্থায়। মন্ত্রী, বড় বড় নেতার সামনেই বিভিন্ন উপদলের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মারপিট। হট্টগোল এমন জায়গায় পৌঁছাল যে পুলিশ বাধ্য হয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করল।
ইত্তেফাক থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন প্রতিবেদক শামস উল হুদা। তিনি ফিরে এসে বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে ঘটনা বললেন। কীভাবে প্রতিবেদনটি লিখতে হবে, সেই নির্দেশনা দিলেন সিরাজ। আট কলামে ব্যানার হেডিং হবে, এ রকমই ভাবছিলেন বার্তা সম্পাদক। কিন্তু সন্ধ্যার পর তথ্য দপ্তর থেকে এল নির্দেশ—সরকারি দলের সভায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, এ কথা লেখা যাবে না।
পুলিশের লাঠিচার্জের কথাই যদি না ছাপা যায়, তাহলে এ খবরের কোনো মানেই তো হয় না। শামস উল হুদা নিরাশ হয়ে বললেন, ‘তাহলে কী করব সিরাজ ভাই?’
সিরাজুদ্দীন হোসেন হেসে বললেন, ‘ওদের কাজ ওরা করেছে, আমরা আমাদের কাজ করব।’
পরদিন ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় আট কলামে ছাপা হলো খবরটি এভাবে, ‘সরকারি দল মুসলিম লীগের সভা, পুলিশের লাঠিচার্জ হয় নাই, আহত ২৫ জন’।
এরপর আর কিছু কি বোঝার বাকি থাকল পাঠকের?
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আর আলবদররা যখন চামেলীবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, তখন তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি আর গেঞ্জি। ভয়াবহ শীতের সে রাতে চোখে গামছা বেঁধে তাঁকে নিয়ে ওঠানো হয় কাদালেপা মাইক্রোবাসে। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
সূত্র: সিরাজুদ্দীন হোসেন ও সমকালীন সাংবাদিকতা, পৃষ্ঠা ৩৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫