Ajker Patrika

ঘাস বেচে সংসার চলে তাঁদের

ঢাকা (দোহার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ২১: ৫৮
ঘাস বেচে সংসার চলে তাঁদের

ভোর হতে না হতেই ঘাসের স্তূপে পরিণত হয় দোহারের বাহ্রা ইউনিয়নের পদ্মার তীরের তেঁতুলতলা। ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর শালীপুর ও ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে ঘাস নিয়ে আসেন অনেকে। ঘাস বেচেই চলে তাঁদের সংসার। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। দোহারসহ আশপাশের অনেক এলাকা থেকে এখানে ঘাস কিনতে আসেন গবাদিপশু পালনকারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে ঘাসের স্তূপ জমে যায় তেঁতুলতলায়। দোহারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন ঘাস কিনতে। গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে পরিচিত নেপিয়ার, দূর্বাঘাস, গর্বাঘাসসহ নানা ধরনের ঘাসের স্তূপ নিয়ে বসে থাকেন বিক্রেতারা। পছন্দমতো সেই ঘাস কেনেন ক্রেতারা। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হয় বেচাকেনা।

বিক্রেতারা জানান, ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন ঘাস বিক্রির পেশা।

জানা গেছে, প্রতিটি ঘাসের আঁটি আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এক আঁটি কাঁঠাল পাতা ৩০ টাকা, দূর্বাঘাস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গর্বাঘাস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ফরিদপুরের চর শালীপুর গ্রাম থেকে ঘাস বিক্রি করতে আসেন মনির হোসেন (৩০)। তিনি বলেন, প্রতিদিন এখানে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্ষার পানিতে ঘাস ডুবে যাওয়ায় একটু চিন্তায় আছি। তবু এই কাজ করে সংসার চালাই।

নবাবগঞ্জের অরঙ্গবাদ গ্রামের ফরিদ (১৫) জানায়, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঘাস আর মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চালাই। আমার লেখাপড়ার খরচও এই ঘাস বিক্রির টাকায় চালাই। এখানে ঘাস বিক্রি করে গিয়ে স্কুলে যাই।’

ঘাস ক্রয় করতে আসা হুকুম আলী (৬২) বলেন, ‘আমি প্রায়ই আসি এই ঘাসের বাজারে। আজকে তিন আঁটি ঘাস কিনেছি ২১০ টাকায়। দোহার ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে ঘাস কিনতে আসেন।’

স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে এই ঘাটে ঘাসের বাজার বসে। বেশির ভাগ গরিব মানুষ কোনো কাজ না পেয়ে পদ্মার শালীপুর থেকে ভোর রাতে বের হয়ে ঘাস কেটে এখানে বিক্রি করেন। সব বয়সের মানুষকে এই ঘাটে দেখতে পাওয়া যায় ঘাস বিক্রি করতে। ক্রেতার সংখ্যাও অনেক বেশি। তবে বেশি পরিশ্রম করে ঘাস বিক্রি করে তেমন টাকা হাতে নিতে পারেন না বিক্রেতারা। সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০-১২তম গ্রেডে নিয়োগ: প্রতি পদের বিপরীতে দুজন থাকবেন অপেক্ষমাণ

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

সাবেক ‘র’-এর প্রধানের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত