Ajker Patrika

নিষিদ্ধ জালে রেণু নিধন

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ৫৯
নিষিদ্ধ জালে রেণু নিধন

মুলাদীতে নিষিদ্ধ বাঁধাজালে ছোট মাছ ও রেণু শিকার করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপজেলার জয়ন্তী ও আড়িয়ালখাঁ নদে অবৈধভাবে বাঁধাজাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন অসাধু জেলেরা। প্রকৃত জেলেরা এসব বাঁধাজাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার জয়ন্তী নদীর বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা, নাজিরপুর সাহেবেরচর, নাতিরহাট, ভুইয়াবাড়ি মুন্সীরহাট এলাকায় বাঁধাজাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়। আড়িয়ালখাঁর আলীমাবাদ রামচর, পশ্চিম তেরচর রাস্তারমাথা, মনসাগঞ্জ, নন্দীরবাজার, মিয়ারচর, কাশিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁধাজাল ফেলেন জেলেরা। এসব বাঁধাজাল থেকে ছোট রেণু বেরিয়ে যেতে পারে না।

বাঁধাজাল দিয়ে শিকারিরা বেশির ভাগ সময় রাতের আঁধারে মাছ ধরেন। অপেক্ষাকৃত বড় মাছগুলো তাঁরা বাজারে বিক্রি করেন। ছোট মাছগুলো এলাকা ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন। পরিবারের নারী ও শিশুদের দিয়ে এসব মাছ বিক্রি করা হয়। যেসব রেণু খাওয়ার অযোগ্য, সেগুলো নদীতে ফেলে দেন তাঁরা।

আড়িয়ালখাঁ নদের জেলে জামাল হোসেন জানান, বাঁধাজাল অনেক ছোট ফাঁস। অনেকটা মশারির মতো। কিছু বাঁধাজাল মশারির চেয়েও ছোট। এগুলো নদীতে এমনভাবে ফেলা হয়, যেখানে মাছ ঢুকতে পারে কিন্তু বের হতে পারে না। নদীতে বড় মাছের সঙ্গে ছোট মাছ ও রেণু থাকে। বাঁধাজালে বড় মাছের সঙ্গে রেণু পোনাগুলোও ধরা পড়ে। জেলেরা বড় মাছ বিক্রি করতে পারলেও রেণু নষ্ট হয়ে যায়। এতে পোয়া, বাইলা, বাইমসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

কাঠেরচর গ্রামের জেলে রেজাউল ফকির বলেন, প্রকৃত জেলেরা মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ছোট মাছ ও রেণু রক্ষায় সচেষ্ট আছে। কিন্তু কিছু অসাধু জেলে মৎস্য দপ্তর ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে অবৈধ বাঁধাজাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এতে বড় মাছের সঙ্গে ছোট মাছ ও রেণু ধ্বংস হচ্ছে। বাঁধাজালের ব্যবহার বন্ধ না হলে নদীতে ভবিষ্যতে মাছের অভাব দেখা দেবে।

রামচর গ্রামের আবুল খায়ের জানান, সকাল হলেই জেলেরা ছোট মাছ বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঢালায় করে নিয়ে আসা মাছ ৫০ ও ১০০ টাকা ভাগা হিসেবে বিক্রি করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা কাচকি মাছ হিসেবে প্রচার করেন। কিন্তু এগুলো বাইলা, বাইম, চিংড়ির ছোট মাছ। অনেক ছোট ফাঁসের জাল ছাড়া এগুলো ধরা সম্ভব না। এভাবে নিধন হলে কিছুদিন পর বাজারে দেশি প্রজাতির মাছ আর দেখা যাবে না।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী বলেন, ‘বাঁধাজাল দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। কিছু অসাধু জেলেরা রাতের আঁধারে এসব জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন। বিষয়টি জেনেছি। অভিযান চালিয়ে এসব বাঁধাজাল বন্ধ করা হবে। যাঁরা অবৈধ জাল ব্যবহার করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত