Ajker Patrika

লাইব্রেরি হয়ে পড়েছে অচল

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ২০: ২২
লাইব্রেরি হয়ে পড়েছে অচল

পাইকগাছায় উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়হীনতায় পাবলিক লাইব্রেরি ও জাদুঘর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অবসরে বিনোদন ও জ্ঞানচর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠক সমাজ। তাই লাইব্রেরীটিকে ব্যবহারের উপযোগি করে তোলার দাবি জানিয়েছেন পাঠকেরা।

খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যখ্যাত পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরি ও জাদুঘর। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স. ম. বাবর আলী এ লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ হাজার টাকায় ১৪৬ জন আজীবন সদস্য ও ২০০ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী সাধারণ সদস্য রয়েছেন ৯৩৮ জন।

লাইব্রেরিটিতে খাতা কলমে বই রয়েছে ৫ হাজারের মতো। বর্তমানে অনেকগুলো বই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানের নামে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র আদালত চত্বর এলাকায় ০.১৩ একর জমি ক্রয় করা হয়। যেখানে তৈরি করা হয় ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা ভবন। ২০০৪ সালে ভবনটির দোতলার কাজ শুরু করলেও ১৭ বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি। ভবনের অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙাচোরা ১৫টি আলমারি, ২০ খানা চেয়ার,৪টি টেবিল যা সবই ব্যবহারের অনুপযোগী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫ হাজার বই কেনা হলেও পরে এখানে আর নতুন করে কোনো বই কেনা হয়নি বলে লাইব্রেরিয়ান জানান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০-৩০০ পাঠকের আনাগোনা থাকলেও বর্তমান পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো দিন ২ / ১ জন পাঠক অতি প্রয়োজনে গেলেও অধিকাংশ সময় থাকে পাঠকশূন্য। চুরি হয়েছে অনেক বইপুস্তক। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের খুবই অভাব দেখা দিয়েছে।

বর্তমান লাইব্রেরিয়ান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘৮ বছর আগে আমাকে পৌরসভার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে যা পেয়েছি তা নিয়েই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ১৮ আগস্ট পৌরসভা অলিখিতভাবে লাইব্রেরি ও জাদুঘর দেখাশোনার দায়িত্ব পান। উপজেলা পরিষদ লিখিতভাবে হস্তান্তর না করায় অবকাঠামো কোনো পরিবর্তন করা বা জাদুঘরের স্মৃতি নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট স. ম. বাবর আলী বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলাম আমি দায়িত্বে না থাকার কারণে তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পৌরসভা দায়িত্ব পেয়েও কোনো কিছু করছেন না। যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। সমাজ সেবা বলছে এটি পৌরসভার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে যাতে সুন্দরভাবে লাইব্রেরি গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত