Ajker Patrika

শিক্ষকসংকটে পাঠদানে বিঘ্ন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৪
শিক্ষকসংকটে পাঠদানে বিঘ্ন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষক না থাকায় দুই শিফটের শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে এক শিফটে ক্লাস করানো হচ্ছে। তাতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্লাসে তারা মনোযোগ দিতে পারছে না, তেমনি পাঠদানে শিক্ষকদেরও সমস্যা হচ্ছে।

১৯৮৫ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯৬০ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১০ জন। শুরুতে এক শিফটে ১৯ জন শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপে দুই শিফট চালু করা হয়। এক শিফটেই এখানে শিক্ষক থাকার কথা ছিল ২৭ জন।

বিদ্যালয়ের এ অবস্থায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থী মহলে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, এখানে রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মোটেই আন্তরিক নন। ফলে শিক্ষায় এ উপজেলার অবস্থান জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় তলানিতে অবস্থান করছে। এ অচলাবস্থা অবসানে স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তাঁরা।

স্কুলের অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, এসএসসি ছাড়াও এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে স্কুলটি ব্যবহার করা হয়। তখনো দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকে। এ জন্য অভিভাবক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের কতিপয় অর্থলোলুপ শিক্ষককে দোষারোপ করেন। যারা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা মনে করেন, পরীক্ষা চলাকালীন স্কুল বন্ধ রেখে ছুটি ভোগ ও টিউশন বাণিজ্য করা যাবে। তাই এসব পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র এখানে রাখতে তারা তদবির করে থাকেন।

একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, একে তো শিক্ষক সংকট, তার ওপর প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। ফলে স্কুলের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক সংকট নিরসনে প্রশাসনিক তদবির যথাযথভাবে হচ্ছে না। আবার অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এ সংকট মোকাবিলায়ও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে আগামী পাবলিক পরীক্ষায় (এসএসসি) বিদ্যালয়ের ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ সাঈদ উর রহমান বলেন, এ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং উপপরিচালক (ডিডি) বরাবর একাধিকবার শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়ে তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হচ্ছে না। যে কারণে বাধ্য হয়ে দুই শিফটের স্থলে এক শিফটে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে হচ্ছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, শিক্ষা প্রশাসনে সমন্বয়হীনতার কারণে দীর্ঘদিন এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট কাটছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী বাদে বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭৭৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। যা দিয়ে দুই শিফট ক্লাস পরিচালনা করা সম্ভবপর হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। স্কুলের এ বিষয়টি ভালোভাবে জানা নেই। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত