Ajker Patrika

টাঙ্গুয়ার হাওর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৪
টাঙ্গুয়ার হাওর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি

‘রামসার সাইট’ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘টাঙ্গুয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ করার দাবি জানিয়েছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের বর্তমান ব্যবস্থাপনা বাতিল করতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনার নামে গত ২০ বছরের কার্যক্রমের ব্যয়ের স্বচ্ছতা এবং এতে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরে ব্যবস্থাপনা শুরুর আগে গাছ, মাছ, পাখি, পোকামাকড়, অন্যান্য প্রাণীসহ জীববৈচিত্র্যের প্রজাতি ও সংখ্যা এবং বর্তমানে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যার মূল্যায়ন করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত পাশা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে রামসার সাইট ঘোষণার পর থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের কী ছিল, আর এখন কী আছে-এসবের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন শুভ বলেন, ‘এই হাওরকে বাঁচাতে হাওর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। এ ছাড়া ভারতের পাহাড় ধসে যেভাবে বালু-পাথর আসছে, কিছুদিন পর টাঙ্গুয়ার হাওরে পানির বদলে বালিতে পরিণত হবে। এটার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকা সত্ত্বেও দিনে-রাতে অবাধে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। টাঙ্গুয়ার হাওরের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তা না হলে আমরা বড় আন্দোলনে নামব।’

এতে সভাপতিত্ব করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সহসভাপতি রাধিকা রঞ্জন তালুকদার, আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনুর আহমদ।

আরও বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আবু সইদ, তাহিরপুর উপজেলার সদস্যসচিব হোসাইন শরীফ বিপ্লব প্রমুখ।

এ সময় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা লিখিত বক্তব্যে জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছ ও পাখি ধরা এবং বনজ সম্পদ আহরণ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। হাওরের জনসাধারণ ও পর্যটকের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরের মৎস্য, বন, প্রাণিসম্পদ তথা সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিতকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আইন প্রণয়ন করে ‘টাঙ্গুয়ার হাওর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে হবে। এটি গঠনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কোস্টগার্ড, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত