হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
পাঁচ সন্তানের বাবা মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) পেশায় জেলে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে সংসার চলে। দীর্ঘ ৩৫ বছর এই পেশায় থাকলেও জেলে হিসেবে তাঁর নাম এখনো নিবন্ধন হয়নি। নেই জেলে হিসেবে নিবন্ধিত কার্ড। নিবন্ধন না থাকায় সরকারি বরাদ্দসহ সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিনি। ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অনেকটা অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাঁকে। সংসার চলছে অনেকটা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে।
মোজাম্মেল হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলাম মেম্বারের মালিকানাধীন এমভি নুর ইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝি-মাল্লা কাজ করেন। তাঁদের কারও জেলে হিসেবে নিবন্ধন নেই। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া অনেক মাঝি-মাল্লার অবস্থা মোজাম্মেল মাঝির মতোই।
৬৫ দিনের জন্য সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এতে অনেকটা বেকার সময় পার করছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার লক্ষাধিক জেলে। এদিকে কার্ড না থাকায় সরকারি বরাদ্দ থেকে বাদ পড়ছেন অনেক জেলে। ফলে বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে চলছে এসব জেলের সংসার। জেলেদের দাবি, প্রকৃত সংখ্যা অনুপাতে খুব কমসংখ্যক জেলেকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
কাজির বাজারের জামাল উদ্দিনও একই মালিকের এমভি নুর ইসলাম-১ নামে একটি ট্রলারের মাঝি। জামাল জানান, তাঁর নামে নিবন্ধন আছে অথচ সরকারি কোনো সুবিধা পাননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া অনেক মাঝি-মাল্লা জানান, তাঁরা ১২ মাস নদীতে থাকেন। এ জন্য তীরে যেসব জেলে থাকেন, তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সখ্য করে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নেন। প্রকৃত জেলে হয়েও তাঁরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এই দ্বীপ উপজেলায় লক্ষাধিক জেলের বসবাস। সরকারি বরাদ্দ অনুপাতে প্রণোদনার চাল পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলে।
হাতিয়া উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সমিতির অধীনে হাতিয়ায় ২৫৭টি বড় মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে। এই ট্রলারগুলো সারা বছর নদীতে মাছ শিকার করে। সরকার বিভিন্ন সময় নদী ও সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়, তা মেনে চলেন এসব ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা। অথচ আমরা জানি না কাদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেখি ইউপি কার্যালয়ে জেলেদের চাল বিতরণ হচ্ছে। যাঁরা জেলেদের জন্য বরাদ্দের এসব চাল নিয়ে যান, তাঁদের অধিকাংশ জেলে নন।’
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসের বিবরণী বোর্ডে লেখা হাতিয়ায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮০ জন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই নিবন্ধিত জেলের কোনো তালিকা নেই মৎস্য অফিসে।
হাতিয়া মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এই দ্বীপ উপজেলায় লক্ষাধিক জেলের বসবাস। সরকারি বরাদ্দ অনুপাতে প্রণোদনার চাল পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলে। এদিকে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রকল্প অফিস থেকে কোনো তালিকা আজ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি।
প্রতি বছরের মতো এবারও মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে। এ সময় জেলেদের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে। বরাদ্দের একটি চিঠি উপজেলা মৎস্য অফিসে এসে পৌঁছেছে। তাতে ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলের জন্য ৩৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপির মাধ্যমে নিবন্ধন হওয়া জেলে কার্ড আছে, এমন লোকদের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘নিবন্ধন ও জেলে কার্ড নেই—এমন লোকদের আমরা সরকারি কোনো সুবিধা দিতে পারি না। ২০১৫ সালে নিবন্ধন করা অনেকে এখন এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন। এমন অভিযোগ আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি। কিন্তু নতুন করে কাউকে জেলে হিসেবে নিবন্ধন করার সুযোগ আমাদের নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, এখন যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরাও জেলে। কে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান, কারা যান না, তা দেখার দায়িত্ব ইউপির। তবে হাতিয়ায় যে পরিমাণে জেলে রয়েছেন, তাতে সরকারিভাবে দেওয়া বরাদ্দ অনেকটা অপ্রতুল।
পাঁচ সন্তানের বাবা মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) পেশায় জেলে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে সংসার চলে। দীর্ঘ ৩৫ বছর এই পেশায় থাকলেও জেলে হিসেবে তাঁর নাম এখনো নিবন্ধন হয়নি। নেই জেলে হিসেবে নিবন্ধিত কার্ড। নিবন্ধন না থাকায় সরকারি বরাদ্দসহ সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিনি। ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অনেকটা অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাঁকে। সংসার চলছে অনেকটা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে।
মোজাম্মেল হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলাম মেম্বারের মালিকানাধীন এমভি নুর ইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝি-মাল্লা কাজ করেন। তাঁদের কারও জেলে হিসেবে নিবন্ধন নেই। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া অনেক মাঝি-মাল্লার অবস্থা মোজাম্মেল মাঝির মতোই।
৬৫ দিনের জন্য সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এতে অনেকটা বেকার সময় পার করছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার লক্ষাধিক জেলে। এদিকে কার্ড না থাকায় সরকারি বরাদ্দ থেকে বাদ পড়ছেন অনেক জেলে। ফলে বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে চলছে এসব জেলের সংসার। জেলেদের দাবি, প্রকৃত সংখ্যা অনুপাতে খুব কমসংখ্যক জেলেকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
কাজির বাজারের জামাল উদ্দিনও একই মালিকের এমভি নুর ইসলাম-১ নামে একটি ট্রলারের মাঝি। জামাল জানান, তাঁর নামে নিবন্ধন আছে অথচ সরকারি কোনো সুবিধা পাননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া অনেক মাঝি-মাল্লা জানান, তাঁরা ১২ মাস নদীতে থাকেন। এ জন্য তীরে যেসব জেলে থাকেন, তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সখ্য করে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নেন। প্রকৃত জেলে হয়েও তাঁরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এই দ্বীপ উপজেলায় লক্ষাধিক জেলের বসবাস। সরকারি বরাদ্দ অনুপাতে প্রণোদনার চাল পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলে।
হাতিয়া উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সমিতির অধীনে হাতিয়ায় ২৫৭টি বড় মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে। এই ট্রলারগুলো সারা বছর নদীতে মাছ শিকার করে। সরকার বিভিন্ন সময় নদী ও সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়, তা মেনে চলেন এসব ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা। অথচ আমরা জানি না কাদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেখি ইউপি কার্যালয়ে জেলেদের চাল বিতরণ হচ্ছে। যাঁরা জেলেদের জন্য বরাদ্দের এসব চাল নিয়ে যান, তাঁদের অধিকাংশ জেলে নন।’
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসের বিবরণী বোর্ডে লেখা হাতিয়ায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮০ জন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই নিবন্ধিত জেলের কোনো তালিকা নেই মৎস্য অফিসে।
হাতিয়া মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এই দ্বীপ উপজেলায় লক্ষাধিক জেলের বসবাস। সরকারি বরাদ্দ অনুপাতে প্রণোদনার চাল পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলে। এদিকে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রকল্প অফিস থেকে কোনো তালিকা আজ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি।
প্রতি বছরের মতো এবারও মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে। এ সময় জেলেদের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে। বরাদ্দের একটি চিঠি উপজেলা মৎস্য অফিসে এসে পৌঁছেছে। তাতে ৪ হাজার ৩৭৫ জন জেলের জন্য ৩৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপির মাধ্যমে নিবন্ধন হওয়া জেলে কার্ড আছে, এমন লোকদের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘নিবন্ধন ও জেলে কার্ড নেই—এমন লোকদের আমরা সরকারি কোনো সুবিধা দিতে পারি না। ২০১৫ সালে নিবন্ধন করা অনেকে এখন এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন। এমন অভিযোগ আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি। কিন্তু নতুন করে কাউকে জেলে হিসেবে নিবন্ধন করার সুযোগ আমাদের নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, এখন যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরাও জেলে। কে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান, কারা যান না, তা দেখার দায়িত্ব ইউপির। তবে হাতিয়ায় যে পরিমাণে জেলে রয়েছেন, তাতে সরকারিভাবে দেওয়া বরাদ্দ অনেকটা অপ্রতুল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪