সম্পাদকীয়
দর্শক-শ্রোতার সামনাসামনি গান গাইলে তাকাতে হয় তাদের দিকে। রেডিওতে গান করলে তাকানোর বিষয়টি খুব একটা প্রয়োজনীয় নয়; কারণ শ্রোতা দেখতে পাচ্ছে না শিল্পীকে। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যখন ঢাকায় এল টেলিভিশন এবং সেই টেলিভিশনে সরাসরি গাইতে হলো গান, তখন কী অবস্থা হয়েছিল ফেরদৌসী রহমানের?
সন্ধ্যা সাতটায় ছিল গানের অনুষ্ঠান। ফেরদৌসী রহমান প্রথম গাইলেন আবু হেনা মোস্তফা কামালের লেখা ও আনোয়ারউদ্দীন খানের সুর করা ‘ওই যে আকাশ নীল হলো আজ/সে শুধু তোমার প্রেমে...’ গানটি। এরপর গাইলেন একটা ভাওয়াইয়া গান।
এত দিন বেতারে গেয়েছেন ফেরদৌসী রহমান, সেখানে দর্শক নেই। তাই কপাল কোঁচকালে কিংবা যন্ত্রীদের ইশারা করলে কেউ দেখতে পাবে না। শ্রোতাদেরও দেখা যায় না। স্টেজে গাওয়ার সময় সরাসরি দর্শক-শ্রোতাদের দেখে বোঝা যায়, গানটি তাদের পছন্দ হচ্ছে কি না। এবার এই নতুন যন্ত্রে যন্ত্রণাটাও নতুন! সামনে দর্শক-শ্রোতা নেই, কিন্তু সব সময় মনে রাখতে হচ্ছে সামনেই আছে দর্শক, সামনেই আছে শ্রোতা!
কীভাবে তাহলে মানিয়ে নিলেন ফেরদৌসী রহমান?
গান করার সময় হাতের ডান দিকে দূরে ছিল একটি টেলিভিশন মনিটর। সেটাতে ফেরদৌসী নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলেন। সেদিকে মাঝে মাঝে দৃষ্টি চলে যাচ্ছিল তাঁর, কিন্তু মূলত চোখ রেখেছিলেন ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরাই তো দর্শক, ক্যামেরাই শ্রোতা।
সে সময় যে কথাটা মনে আসেনি, পরে তা তাঁকে আনন্দ দিয়েছে খুব। তিনিই যে টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের প্রথম সংগীতশিল্পী, তা তো এখন ইতিহাস। এই প্রথম আর কেউ তো হতে পারবে না। বহু দেশের বহু টিভি স্টেশনে গান করেছেন ফেরদৌসী। এর মধ্যে আছে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বরের সেই সরাসরি টিভি অনুষ্ঠানটিই তাঁর মনে সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে। এর কোনো তুলনা হয় না।
সূত্র: ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৮২-৮৩
দর্শক-শ্রোতার সামনাসামনি গান গাইলে তাকাতে হয় তাদের দিকে। রেডিওতে গান করলে তাকানোর বিষয়টি খুব একটা প্রয়োজনীয় নয়; কারণ শ্রোতা দেখতে পাচ্ছে না শিল্পীকে। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যখন ঢাকায় এল টেলিভিশন এবং সেই টেলিভিশনে সরাসরি গাইতে হলো গান, তখন কী অবস্থা হয়েছিল ফেরদৌসী রহমানের?
সন্ধ্যা সাতটায় ছিল গানের অনুষ্ঠান। ফেরদৌসী রহমান প্রথম গাইলেন আবু হেনা মোস্তফা কামালের লেখা ও আনোয়ারউদ্দীন খানের সুর করা ‘ওই যে আকাশ নীল হলো আজ/সে শুধু তোমার প্রেমে...’ গানটি। এরপর গাইলেন একটা ভাওয়াইয়া গান।
এত দিন বেতারে গেয়েছেন ফেরদৌসী রহমান, সেখানে দর্শক নেই। তাই কপাল কোঁচকালে কিংবা যন্ত্রীদের ইশারা করলে কেউ দেখতে পাবে না। শ্রোতাদেরও দেখা যায় না। স্টেজে গাওয়ার সময় সরাসরি দর্শক-শ্রোতাদের দেখে বোঝা যায়, গানটি তাদের পছন্দ হচ্ছে কি না। এবার এই নতুন যন্ত্রে যন্ত্রণাটাও নতুন! সামনে দর্শক-শ্রোতা নেই, কিন্তু সব সময় মনে রাখতে হচ্ছে সামনেই আছে দর্শক, সামনেই আছে শ্রোতা!
কীভাবে তাহলে মানিয়ে নিলেন ফেরদৌসী রহমান?
গান করার সময় হাতের ডান দিকে দূরে ছিল একটি টেলিভিশন মনিটর। সেটাতে ফেরদৌসী নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলেন। সেদিকে মাঝে মাঝে দৃষ্টি চলে যাচ্ছিল তাঁর, কিন্তু মূলত চোখ রেখেছিলেন ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরাই তো দর্শক, ক্যামেরাই শ্রোতা।
সে সময় যে কথাটা মনে আসেনি, পরে তা তাঁকে আনন্দ দিয়েছে খুব। তিনিই যে টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের প্রথম সংগীতশিল্পী, তা তো এখন ইতিহাস। এই প্রথম আর কেউ তো হতে পারবে না। বহু দেশের বহু টিভি স্টেশনে গান করেছেন ফেরদৌসী। এর মধ্যে আছে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ। কিন্তু ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বরের সেই সরাসরি টিভি অনুষ্ঠানটিই তাঁর মনে সবচেয়ে গাঢ় হয়ে আছে। এর কোনো তুলনা হয় না।
সূত্র: ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৮২-৮৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫